কবুতরের সালমোনেলোসিস রোগ আজকের আলোচনার বিষয়।”কবুতরের রোগব্যাধি : সালমোনেলোসিস রোগ [ Pigeon disease: Salmonellosis disease ]” ক্লাসটি “পোলট্রি রেয়ারিং এন্ড ফার্মিং ২ [ Poultry Rearing & Farming 2 ]” কোর্সের পাঠ্য। “কবুতরের রোগব্যাধি : সালমোনেলোসিস রোগ [ Pigeon disease: Salmonellosis disease ]” ক্লাসটি এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) [ SSC & Dakhil (Vocational) ] এর ২য় অধ্যায়ের [ Chapter 2 ] পাঠ। নিয়মিত ক্লাস পেতে গুরুকুল কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ গুরুকুলে যুক্ত থাকুন।
কবুতরের সালমোনেলোসিস রোগ
কবুতরের সালমোনেলোসিস রোগ (Salmonellosis in Pigeon)
কারণ: সধারণত Salmonella প্রজাতির (Salmonella gallinarum, Salmonella pullorum) ব্যাকটেরিয়া এ রোগের জন্য দায়ী।
রোগ বিস্তার :
- আক্রান্ত ডিমের মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার ঘটে ।
- খাবার, পানি, খামারে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির মাধ্যমে এ রোগ ছড়াতে পারে।
- কর্মরত শ্রমিক ও আগত অন্যান্য লোকজন, খাদ্য সরবরাহের গাড়ি, বন্যপ্রাণী যেমন ইঁদুর ইত্যাদির মাধ্যমে খামারে এ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে ।
- এ রোগে শতকরা ৫-৫০ বা তারও বেশি কবুতর আক্রান্ত হতে পারে।

রোগের লক্ষণ:
১. আক্রান্ত কবুতরের ডাইরিয়া হয় এবং জেলির মতো হলুদ বা সবুজ পায়খানা করে।
২. কবুতর আস্তে আস্তে শুকিয়ে যায়।
৩. পা এবং পাখায় প্যারালাইসিস হয়।
৪. ডিম পাড়ার সমস্যা দেখা দেয় ।
৫. পা এবং পাখার গিড়া ফুলে যায় ও ব্যাথা হয় ।
৬. খাদ্য কম খায় অর্থাৎ ক্ষুধামন্দা হয়।
৭. ডিম উৎপাদন কমে যায় ।
রোগ নির্ণয় : প্যাথলজিক্যাল পরিবর্তন এবং ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করে এ রোগ নির্ণয় করা যায়।
রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা:
কার্যকরী অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। পশু চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। রোগ প্রতিরোধের জন্য খামারে ব্যাকটেরিয়ার প্রবেশ রুদ্ধ করতে হবে এবং আক্রান্ত কবুতরকে খামার থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। জেন্টামাইসিন ৩০% পাউডার, ১ গ্রাম ২০ লিটার পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। টেট্রাসাইক্লিন ২৫% ১ গ্রাম ২০ লিটার পানিতে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।
কবুতরের সালমোনেলোসিস রোগ নিয়ে বিস্তারিত ঃ
আরও দেখুনঃ