আমাদের আজকের আর্টিকেলটি গরুর দুধ দিয়ে দই বা যে কোনো একটি খাদ্য তৈরি করা সম্পর্কে – যা বাউবি বিএজএড ২৩০৪ গৃহপালিত পশুপালন ইউনিট-১ এর অন্তর্ভুক্ত |
গরুর দুধ দিয়ে দই বা যে কোনো একটি খাদ্য তৈরি করা
প্রাসঙ্গিক তথ্য
দই বাংলাদেশে অতি জনপ্রিয় দুগ্ধজাত খাদ্য। যে কোনো ভোজে দই পরিবেশন করা না হলে সে ভোজের উদ্দেশ্যই নষ্ট হয়ে যায়। ভোজ অনুষ্ঠানকারী সমালোচনার সম্মুখীন হন। ভোজের সাফল্য অনেকাংশেই পরিবেশিত দইয়ের মানের ওপর নির্ভর করে। দই সাধারণত দুপ্রকার। যথা- টক ও মিষ্টি দই। টক দই সাধারণত রান্নাবান্না ও সালাদ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। তবে, অধিক টক না হলে খাদ্যের সাথেও পরিবেশন করা যায়।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
দুধ, ডেকচি, মাটির পাত্র, সাঁচ, চিনি, লাকড়ি বা গ্যাসের চুলো।
কাজের ধাপ
- প্রথমে সদ্য দোহনকৃত পাঁচ লিটার কাঁচা দুধ ভালোভাবে ছেকে নিন।
- নির্ধারিত পরিমাণ দুধ অল্প জ্বালে ফুটাতে থাকুন। তবে, লক্ষ্য রাখতে হবে যেন দুধ পুড়ে না যায়।
- দুধের আয়তন ১/৩ অংশ কমে গেলে তাতে ১৫-১৮% পরিষ্কার চিনি সম্পূর্ণভাবে মেশান। মিষ্টি দই তৈরিতে প্রতি লিটার দুধে এই হারে চিনি মেশান।
- ফুটন্ত দুধ নতুন মাটির পাত্রে ঢেলে রাখুন এবং শুষ্ক ও বায়ু চলাচলের সুবিধাযুক্ত কক্ষে রাখুন।
- যখন দুধের তাপমাত্রা ৪০-৪৫° সেলসিয়াসে নামবে তখন চা-চামচের ২/৩ চামচ সাঁচ বা কালচার যোগ করুন। কালচার বা সাঁচ পাতিলে মেশানোর পর দুধ স্থিরভাবে পাত্রে ঢেলে রাখুন।
- তারপর ৪-৫ ঘন্টা দুধের পাত্রগুলো ভালো করে ভারি কাপড় বা অন্য কোনো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন অথবা ওভেনে রাখুন। মোটামুটিভাবে ২৪ ঘণ্টায় দই হয়ে যাবে।
- দইয়ের আকৃতি শক্ত করার জন্য ৫% গুঁড়ো দুধ ফুটানোর পূর্বে যোগ করা যেতে পারে।
দই সংরক্ষণ ও সাবধানতা
- জমাট বাধার পর দই রেফ্রিজারেটরে রাখলে ভালো থাকবে।
- তাপ নিয়ন্ত্রণ আমাদের দেশে একটি সমস্যা। তাপ কমে গেলে (অর্থাৎ শীতের সময়) দই খারাপ হয়ে যেতে পারে।
- মাটির পাত্র বিধায় দই তৈরির পর সাবধানে নাড়াচাড়া করা উচিত।
- বেশি সাঁচ বা কালচার দিলে দই টক হয়ে যেতে পারে। ভালো কালচার হলে দইয়ের স্বাদও ভালো হয়।
- আমাদের দেশে শীতকাল ব্যতীত বছরের অন্য সময় খোলা জায়গায় রেখে দই তৈরি করা যায়। শীতকালে ওভেনে রাখার দরকার আছে। দই হওয়ার জন্য ৩৮-৪০° সে. তাপমাত্রাই উত্তম।
আরও দেখুনঃ