ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ নেক্রেটিক এন্টারাইটিস আজকের আলোচনার বিষয়। “ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ নেক্রেটিক এন্টারাইটিস [ Necrotic enteritis a bacterial disease ]” ক্লাসটি “পোলট্রি রেয়ারিং এন্ড ফার্মিং ১ [ Poultry Rearing & Farming 1 ]” কোর্সের পাঠ্য। “ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ ভিটামিন ডি [ Vitamin D Deficiency Disease ]” ক্লাসটি এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) [ SSC & Dakhil (Vocational) ] এর ৪র্থ অধ্যায়ের [ Chapter 4 ] পাঠ। নিয়মিত ক্লাস পেতে গুরুকুল কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ গুরুকুলে যুক্ত থাকুন।
ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ নেক্রেটিক এন্টারাইটিস
এটি ব্যাক্টেরিয়াল রোগ,ক্লোস্টিডিয়াল স্পিসিস টাইপ এ এবং সি দিয়ে হয় ।টাইপ এ ও সি আলফা টক্সিন তৈরি করে আর টাইপ সি বিটা টক্সিন তৈরি করে।এই বিটা টক্সিন মিউকোসাল ণেক্রোসিস করে।এটি ১৯৩০ সালে বেনেট অস্টেলিয়ায় ১ম রেকর্ড করেন।
এটি হঠাত শুরু হয় এবং তীব্র(একিউট) ইনটেস্টাইনাল(Intestinal) নেক্রোসিস হয়।নরমালি সিকাম ও বৃহদান্ত্রে থাকে কিন্তু এরা মাইগ্রেট করে ক্ষুদ্রান্তে চলে আসে এবং টক্সিন তৈরি করে।ইনটেস্টাইনে বেনিফিশিয়াল এবং প্যাথোজেনিক ব্যাক্টেরিয়া থাকে যার পরিমান প্রায় ২০০০ স্পিসিস এরা ভিটামিন,জায়গা ও এটাস্মেন্টের জন্য প্রতিযোগিতা করে।হিট রেজিস্ট্যান্ট,৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রায় ও কিছু সময় এরা বেচে থাকে।এটি গ্রাম পজিটিভ,অক্সিজেনিক এনেরোবিক,এক্সটিমলি প্রলিফিক(Prolific),স্পোর ফরমিং ব্যাক্টেরিয়াম।সারা পৃথিবীতে দেখা যায়।।ইনকুবেশন পিরিয়ড ৬-২৪ ঘন্টা তবে ৮-১২ ঘন্টা বেশি হয়।
কিভাবে ছড়ায়ঃ
এটি মাটি,ডাস্ট,খাবার,পায়খানা,লিটার ও নাড়িভুড়িতে পাওয়া যায়।
হোস্টঃ
মুরগি,কোয়েল এবং টার্কিতে হয়।ব্রয়লারে বেশি হয়,তবে লেয়ারেও হয়।লেয়ারে ক্ষেত্রে ২- ২৫ সপ্তাহ পর্যন্ত এমন কি ডিম পাড়ার শুরুতে হয় সাথে কক্সিডিয়া থাকলে আরো তীব্র হয় যদি ফ্লোরে পালা হয়।১২-১৬ সপ্তাহে লেয়ারে বেশি যদি লিটারে থাকে এবং আমাশয়/কৃমি হয়।৩-৪ সপ্তাহে ব্র্য়লারে বেশি হয়।তবে ২-৬ সপ্তাহেও দেখা যায়.
ব্রয়লার ব্রিডারে বেশি হয় যখন ডিপ লিটারে পালা হয় এবং ফাস্টিং করা হয় ফলে মুরগি লিটার খায়।আমাশয় হলে এটা হবার সম্বাবনা বেড়ে যায়।Severe necrotic enteritis in caeca of young broiler in case of coccidiosis.টার্কিতে ৭-১২ সপ্তাহে হয় যদি কৃমি এবং আমাশয় হয়।মর্বিডিটি ৬০% তবে একিউট হলে মর্বিডিটি তেমন নাই আর মর্টালিটি ৩০% হতে পারে।
পরিবেশ এবং অন্যান্য বিষয় যা রোগকে তীব্র করে তুলে তা হলঃ
আবহাওয়াঃশীতকাল এবং গরমকালের পরে বেশি হয়.Necrotic enteritis is produced when there is damage to inner intestinal lining.This allow bacteria to grow and produce toxin which damage intestine and cause death.
ইন্টেস্টাইন কোন কারণে যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে এই ব্যাক্টেরিয়া বৃদ্ধি পায় এবং টক্সিন তৈরি করে ও রোগ হয়।আমাশয়,যদি মাইল্ড বা সাবক্লিনিকেলে থাকে তাহলে এন্টারাইটিস বেশি হয়।লোয়ার ইন্টেস্টাইনে(Lower intestine) যদি আংশিক ইম্পেকশন হয়( লিটার বা খাবারের কারণে)।হঠাত খাবার বদলালে।
এন্টিবায়োটিক গ্রোথ প্রমোটর যদি খাবার থেকে বাদ দেয়া হয়।এস্কারিড কৃমি।
স্টেস পড়লে।ডাউন টাইম যদি কম হয় মানে এক ব্যাচের মাঝে আরেক ব্যাচের গ্যাপ যদি কম হয়।
লিটার যদি ভিজা বা দলা থাকে।ইমোনোডেফিসিয়েনসী ডিজিজ যেমন চিকেন ইনফেকশাস এনিমিয়া,আই বি ডি,মেরেক্স বা অন্য কোন কারণ যদি ইমোনিটি কমে যায়।
ডায়াটারি জিংক ঃখাবারে গম (৩৫% এর বেশি দিলে)বারলি,মিটমিল বা ফিশমিল বেশি দিলে জিংক বেড়ে যায় যা জীবনূর জন্য উপকারী।এনিমেল প্রোটিন ঃফিশমিল বা (lard ) বেশি দিলে পি এইচ বেড়ে যায়, ভেজিটেবল প্রোটিন তাই বেশি ভাল,ফিশমিলে জীবানূ থাকে এবং জীবানূর খাবারও থাকে।
খাবারে পি এইচ বেশি মানে এল্কালাইন হলে।সিরিয়ালস খাবারে (ইনসলবল ফাইবার (lignocaine)এন এস পি বেশি থাকে যা ভিস্কোসিটি বাড়ায় যা প্যাসেজ টাইম বাড়িয়ে দেয় ফলে এনেরোবিক ব্যাক্টেরিয়া বেড়ে যায় এবং টক্সিন তৈরি করে।
মিউকোসা ড্যামেজ ঃলিটার বা ফাইব্রাস ম্যাটারিয়াল খেলে মিউকোসার ক্ষতি হয়,তাছাড়া গুড়া খাবারে রোগ তীব্র হয় এবং মারা যায়।ক্ষুদ্রান্তে যদি পি এইচ বেশি এবং অক্সিজেন কমে যায় তাহলে উপস্থিত ব্যাক্টেরিয়া আক্রমণ শুরু করে।
যত্রততত্র এ জি পি ব্যবহার।ভেন্টিলেশন যদি ভাল না হয়।মুরগি যদি বেশি ঘন হয়।
সাধারনত ১০(৪) জীবানূ পার গ্রাম লিটারে থাকে কিন্তু ইম্ব্যালেন্স হলে ১০(৭-১০) হয় এবং রোগ প্রকাশ পায়(৭-১০ পাওয়ার)।
ফর্ম বা রুপ ৩টি
ক্লাসিকেল বা নেক্রোটিক এন্টারাইটিস
কোলাঞ্জিওহেপাটাইটিস
ডিজব্যাক্টেরিওসিস
ইকোনোমিক ক্ষতি
ওজন কমে যায়.।এফ সি আর বেড়ে যায়.মারা যায়.
প্রতি মুরগিতে প্রায় ২ টাকা কমে যায়.
লক্ষণঃ
লক্ষণ নাও থাকতে পারে।ডিপ্রেশন।রুচি কমে যায় এবং মুরগি ছোট বড় হয়ে যায়।উস্কোখুস্কো পালক।ডায়রিয়া,পানির মত পাতলা,এবনরমাল কালার,পায়খানা অধিক আঠালো হয়।আবার খুব কালো পায়খানা হতে পারে।ডিহাইড্রেশন তীব্র হয়।orange color droping
ভাল পায়খানায় কোন তরল থাকেনা,এন্টারাইটিসের ক্ষেত্রে ফ্লোয়িড জোন (Fluid zone) হয় কিন্তু লিমিটেড।ভাইরাল বা ই-কলাই হলে বড় ফ্লোয়িড জোন হয়।
পাখি জমা হয়ে থাকে.।অরুচি দেখা দেয়।হঠাত বেশি মারা যায়।সাবক্লিনিকেল হলে গ্রোথ কমে যায়,স্টিকি ড্রপিং যা পায়খানার রাস্তায় লেগে থাকে.
ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ নেক্রেটিক এন্টারাইটিস নিয়ে বিস্তারিত ঃ
আরও দেখুনঃ