ওফ্যালাইটিস বা ন্যাভাল ইল আজকের আলোচনার বিষয়। “ওফ্যালাইটিস বা ন্যাভাল ইল [ Ophalitis or Naval Eel ]” ক্লাসটি “পোলট্রি রেয়ারিং এন্ড ফার্মিং ১ [ Poultry Rearing & Farming 1 ]” কোর্সের পাঠ্য। “ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ ভিটামিন ডি [ Vitamin D Deficiency Disease ]” ক্লাসটি এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) [ SSC & Dakhil (Vocational) ] এর ৪র্থ অধ্যায়ের [ Chapter 4 ] পাঠ। নিয়মিত ক্লাস পেতে গুরুকুল কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ গুরুকুলে যুক্ত থাকুন।
ওফ্যালাইটিস বা ন্যাভাল ইল
সংক্ষিপ্ত রোগ পরিচিতি
রোগের নাম | ওমফ্যালাইটিস (Omphalities) |
রোগের ধরণ | মুরগির ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ |
জীবাণুর নাম | Escherichia coli ই কলাই |
সংক্রমণ | পোল্ট্রি |
মৃত্যুর হার | বাচ্চাতে মৃত্যুর হার বেশি। |
সংক্রমন সময় | যেকোন বয়সে। |
চিকিৎসা | চিকিৎসায় রোগ সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়। |
রোগ ছড়ানোর মাধ্যম
- হ্যাচারী ইনকিউবেটর এর মাধ্যমে মুরগির ওমফ্যালাইটিস রোগ ছড়াতে পারে।
- বাচ্চা বহনকারী কার্টুন বা যানবাহন এর মাধ্যমে এ রোগ ছড়াতে পারে।
- ডিমের ট্রে কোহেলি বা অন্যান্য যন্ত্রপাতির মাধ্যমে এ রোগ ছড়াতে পারে।
- হ্যাচারীর ভিতর যেসব মানুষ কাজ করে তাদের মধ্যে মুরগির একদিন বয়সের বাচ্চার রোগ ছড়াতে পারে।
- বাচ্চার খাদ্য পানি পানির পাত্র এবং খাদ্য পাত্রের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।
- ব্রুডার ঘরের লেটার এর মাধ্যমে এ রোগ ছড়াতে পারে।
মুরগির ওমফ্যালাইটিস রোগের লক্ষণ
- বাচ্চা মাথা নিচু করে ঝিমাতে থাকে।
- খাদ্য ও পানি খাওয়া বন্ধ করে দেয়।
- কোন কোন সময় সাদা সাদা আঠালো পাতলা পায়খানা করে।
- পেট ফুলে যেতে পারে এবং পেটে পানি জমতে পারে।
পোস্টমর্টেম রিপোর্ট
- মুরগির হৃৎপিণ্ডটি ফ্যাকাসে হয়ে যাবে।
- কুসুম থলিটি বড় হয়ে যাবে এবং লালবর্ণের রঞ্জিত হবে।
মুরগির ওমফ্যালাইটিস রোগের চিকিৎসা
কলিবেসিলোসিসরোগের মত মুরগির ওমফ্যালাইটিস রোগের চিকিৎসা করাতে হবে। যেহেতু এ রোগ ই. কলাই নামক গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনে এই রোগ হয় তাই গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে এমন এন্টিবায়টিক প্রয়োগ করতে হয়। মুরগির খামারের যেকোন সমস্যায় ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা
- যেসব মাধ্যমগুলো নিয়ন্ত্রণ করে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
- মুরগির খামারে সর্বদা স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করা উচিত।
ওফ্যালাইটিস বা ন্যাভাল ইল নিয়ে বিস্তারিত ঃ
আরও দেখুনঃ