প্রাকৃতিকভাবে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানো | পোলট্রি রেয়ারিং এন্ড ফার্মিং

প্রাকৃতিকভাবে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানো আজকের আলোচনার বিষয়। “প্রাকৃতিকভাবে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানো [ Naturally Hatching From Eggs ]” ক্লাসটি “পোলট্রি রেয়ারিং এন্ড ফার্মিং ২ [ Poultry Rearing & Farming 2 ]” কোর্সের পাঠ্য। “প্রাকৃতিকভাবে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানো [ Naturally Hatching From Eggs ]” ক্লাসটি এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) [ SSC & Dakhil (Vocational) ] এর ৯ম অধ্যায়ের [ Chapter 9 ] পাঠ। নিয়মিত ক্লাস পেতে গুরুকুল কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ গুরুকুলে যুক্ত থাকুন।

 

প্রাকৃতিকভাবে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানো

প্রাণীর বংশবৃদ্ধি প্রযুক্তি প্রাণীসম্পদের মধ্যে হাঁস-মুরগি অন্যতম। সুতরাং হাঁস-মুরগির বংশবৃদ্ধিতে ফোটানাে ও প্রাকৃতিক উপায়ে বাচ্চা ফোটানাের প্রযুক্তির অবদান সম্পর্কে আলােচনা করা হলাে।

 

ডিম থেকে বাচ্চা প্রাকৃতিকভাবে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানো | পোলট্রি রেয়ারিং এন্ড ফার্মিং

 

ফোটানাের জন্য প্রথমত উর্বর ডিম দরকার। বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যে সমস্ত বৈশিষ্ট্যের উপর জোর দেওয়া প্রয়ােজন নিচে সেগুলাে উল্লেখ করা হলাে-

১। মসৃণ, মােটা ও শক্ত খােসার ।

২। স্বাভাবিক রঙের ।

৩। মাঝারি আকারের ।

৪। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।

৫। ৫০-৬০ গ্রাম ওজনের ডিম।

৬। ডিমের বয়স গ্রীষ্মকালে ৩-৪ দিন এবং শীতকালে ৭-১০ দিন।

ফোটানাে পদ্ধতি : ফোটানাের দুই ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। যেমন প্রাকৃতিক পদ্ধতি ও কৃত্রিম পদ্ধতি। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে হাঁস মুরগি দ্বারা  ফোটানাে হয়। গ্রামের গৃহস্থ বাড়িতে প্রাকৃতিক পদ্ধতিই ব্যবহৃত হয়। এতে অর্থের বিনিয়ােগ লাগে না। অন্যদিকে তুষ পদ্ধতি বা ইনকিউবেটর পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃত্রিমভাবে  ফোটানাের মাধ্যমে বাচ্চা উৎপাদন করা হয়।

 

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

প্রাকৃতিক পদ্ধতি : মুরগির নিজের দেহের তাপ দিয়ে । নিষিক্ত ডিম ফোটানােকে প্রাকৃতিক পদ্ধতি বলে। এ পদ্ধতি আমরা নিজেদের বাড়িতে দেখে থাকব। দেশি মুরগি কিছুদিন ডিম পাড়ার পর কুচে হয় এবং ডিমে তা দিতে আগ্রহী হয়। এরূপ মুরগিকে ১০-১২টি ডিম দিয়ে বসানাে হয়।

  • প্রথমত মুরগির জন্য ঝুড়িতে খড়কুটা দিয়ে একটি বাসা বানাতে হবে।
  • বাসাটি ঘরের নির্জন কোণে রাখতে হবে।
  • মুরগির বাসা ৩৫ সেমি ব্যাস এবং ১০ সেমি চিত্র-২.১৫ : ডিম ফোটানাের প্রাকৃতিক গভীর হবে।
  • ডিমে বসানাের পূর্বে মুরগিকে ভালােভাবে খাওয়াতে হবে। মুরগির সামনে দানাদার খাবার ও পানি রাখতে হবে।
  • ৮-১০ দিন পর ডিমগুলাে সূর্যের আলােয় পরীক্ষা করতে হবে।
  • ডিমের ভিতরে ভুণ থাকলে কালাে দাগের মতাে দেখাবে। ২১তম দিবসে বাচ্চা বেরিয়ে আসবে।
  • বাচ্চারা প্রায় দুইমাস মায়ের তত্ত্বাবধানে থাকে। এরপর বাচ্চারা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করে।

 

প্রাকৃতিকভাবে ডিম

 

প্রাকৃতিকভাবে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানো নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment