Site icon Livestock Gurukul [ লাইভস্টক গুরুকুল ] GOLN

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে পশুর গুরুত্ব

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে পশুর গুরুত্ব

আমাদের আজকের আর্টিকেলটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে পশুর গুরুত্ব সম্পর্কে – যা বাউবি বিএজএড ২৩০৪ গৃহপালিত পশুপালন ইউনিট-১ এর অন্তর্ভুক্ত |

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে পশুর গুরুত্ব

 

 

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গবাদিপশুর বেশ গুরুত্ব রয়েছে। একটি দেশের পণ্যদ্রব্য অন্যদেশে রপ্তানি করে যে মুদ্রা অর্জন করা হয় তাকে বৈদেশিক মুদ্রা বলে। সাধারণত নিজের দেশের চাহিদা মেটানোর পর বাড়তি অংশ বিদেশে রপ্তানি করা হয়। গৃহপালিত পশু এমন এক সম্পদ যা থেকে যে কোনো দেশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে।

এজন্য প্রয়োজন হয় শুধু এ সম্পদের উপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার। উন্নত দেশগুলোর দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যায় তারা বিজ্ঞানসম্মতভাবে পশুপালন করে পশুজাত দ্রব্যের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি অংশ বিদেশে রপ্তানি করছে। এভাবে তারা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। যে দেশ যত বেশি আকর্ষণীয় ও উন্নতমানের এবং অধিক হারে পণ্যদ্রব্য উৎপাদন করতে পারছে বিশ্ববাজার থেকে সে দেশ তত বেশি মুদ্রা অর্জন করতে পারছে।

গবাদিপশু থেকে উৎপাদিত রপ্তানিযোগ্য দ্রব্যসামগ্রী

গবাদিপশুর উপজাত দ্রব্য থেকে নিম্নলিখিত রপ্তানিযোগ্য দ্রব্যসামগ্রী তৈরি করে তা থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়। যথা-

পশুসম্পদ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা

বাংলাদেশ একবার টাটকা ও ড্রেসড মাংস বিদেশে রপ্তানি করেছিল যা নানা কারণে বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৫১১৫ টন পশুর হাড় উৎপাদিত হচ্ছে। বেক্সিমকো কোম্পানি ১৯৯০ সালে ১৮৯৪ টন হাড়ের গুড়া রপ্তানি করে ১০.৭১ মিলিয়ন টাকা উপার্জন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় বিশটির মতো হাড় গুড়া করার কারখানা রয়েছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশ বিদেশে চামড়া রপ্তানি করছে। চামড়া উৎপাদনের ৮১% ওয়েট ব্লু (wet blue) বিদেশে রপ্তানি হয়। ১৯৯০ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশ চামড়া রপ্তানি করে ৫৩৭৮ মিলিয়ন টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে। সে সময় রপ্তানি দ্রব্যের মধ্যে চামড়া তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিল। বাংলাদেশ শুধু চামড়া থেকেই প্রতিবছর ৫০০ মিলিয়ন টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে।

 

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বাংলাদেশ কেন পিছিয়ে

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিদেশের তুলনায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এর কারণগুলো সংক্ষেপে এখানে দেয়া হয়েছে। যথা-

বাংলাদেশের গবাদিপশু থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার উপায়

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের চামড়ার প্রচুর চাহিদা। কাজেই এর উৎপাদন বাড়িয়ে অধিক পরিমাণে বিদেশে রপ্তানি করা যেতে পারে। দুধ উৎপাদন বাড়িয়ে তা থেকে দুগ্ধজাত খাদ্যদ্রব্য, যেমন- মিষ্টি, সন্দেশ, কেক, বিস্কুট, চকোলেট তৈরি করে রপ্তানি করা যেতে পারে। মাংস থেকে উৎপাদিত খাদ্য ও সংরক্ষিত মাংস রপ্তানি করা যায়।

বিভিন্ন উপজাত দ্রব্য থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, যেমন- খেলনা, গহনা প্রভৃতি বিদেশে রপ্তানি করা যায়। এসব কাজে এদেশের কুমার, স্বর্ণকার, কাঠ মিস্ত্রি প্রভৃতি সম্প্রদায়ের লোক নিয়োজিত করলে সুন্দর ও নতুন ধরনের রপ্তানিযোগ্য দ্রব্য প্রস্তুত করা সম্ভব হবে। কারণ, এরা এসব কাজে সুনিপুণ ও দক্ষ কারিগর। মহিলা ও বেকার ব্যক্তিদের দিয়ে কুটির শিল্প কাজ, যেমন- ভেড়ার পশম থেকে কার্পেট, মোটা কম্বল প্রভৃতি তৈরিতে লাগানো যায়। তাছাড়া আমাদের দেশের ভেড়ার জাত উন্নয়ন করে উত্তম পশম উৎপাদন করা যেতে পারে যা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

 

 

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বাংলাদেশের সুবিধা

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version