আমাদের আজকের আর্টিকেলটি মহিষ ও ভেড়া পালন সম্পর্কে – যা বাউবি বিএজএড ২৩০৪ গৃহপালিত পশুপালন ইউনিট – ৭ এর অন্তর্ভুক্ত |
মহিষ ও ভেড়া পালন
গবাদি পশুর মধ্যে সংখ্যার দিক দিয়ে এদেশে গরু ও ছাগল যেমন বেশি তেমনি এদের লালনপালনও বেশি জনপ্রিয়। সে তুলনায় মহিষ ও ভেড়ার সংখ্যা নিতান্তই কম এবং এরা তেমন জনপ্রিয়ও নয়। মহিষ ভারবাহী পশু হিসেবে পরিচিত। প্রধানত জমি চাষ, ফসল মাড়াই, গাড়ি টানা প্রভৃতি কাজেই ব্যবহৃত হয়। এদেশের মহিষের দুধ উৎপাদন ক্ষমতা অত্যন্ত কম।
মাংসের মান মোটামুটি ভালো হলেও মোটা আঁশের কারণে অনেকেই তেমন একটা পছন্দ করেন না। উপকূলীয় অঞ্চল, হাওড় এলাকা ও আখ মাড়াই হয় এমন জেলাগুলোতেই বেশি সংখ্যায় মহিষ পালন করা হয়। গরুর তুলনায় মহিষ পালনে খরচ কম। মহিষ অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার খেয়ে হজম করতে পারে। এদের গায়ে প্রচন্ড শক্তি, এক মহিষ দিয়েই লাঙ্গল টানানো যায়। এদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও গরুর তুলনায় বেশি। তাছাড়া ঘর তৈরি এবং পরিচর্যা করাও সহজ।
এসব কারণে অবহেলিত এই গবাদিপশুটির দিকে নজর দেয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এদেশে ভেড়া পালন মহিষের থেকেও কম জনপ্রিয়। ভেড়া থেকে প্রধানত পশম উৎপাদন করা হয়। তাছাড়া মাংস এবং দুধও পাওয়া যায়। বাংলাদেশে ভেড়ার কোনো নিজস্ব ভালো জাত নেই। এদেশের অতিরিক্ত ভেজা ও স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া ভেড়া পালনের অনুপযোগী। শুষ্ক আবহাওয়া ও শীতপ্রধান দেশ ভেড়া পালনের জন্য উপযোগী। সেসব দেশে প্রধানত উল বা পশম উৎপাদনের জন্যই ভেড়া পালন করা হয়।
এদেশে গ্রামাঞ্চলে কৃষকরা দু’চারটি করে ভেড়া পালন করে থাকেন। নোয়াখালী ও বরিশালে বেশি সংখ্যায় ভেড়া দেখা যায়। আমাদের দেশের ভেড়ার লোম সাদা হলেও অযত্নের কারণে তা হলুদ বর্ণ ধারণ করে। এদের পশম অত্যন্ত মোটা ও নির্মানের যা দিয়ে কম্বল ছাড়া অন্য কিছু তৈরি করা যায় না। বাস্তবে, এদেশের ভেড়া থেকে মাংস ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না বললেই চলে। ভেড়ার মাংস এদেশের খুব কম লোকই পছন্দ করেন।
এই ইউনিটের বিভিন্ন পাঠে মহিষের বাসস্থান, পরিচর্যা ও স্বাস্থ্যসম্মত লালনপালন ব্যবস্থা, খাদ্য, রোগব্যাধি দমন, ভেড়া পালনে সুবিধাদি, ভেড়ার বাসস্থান ও পরিচর্যা, খাদ্য ও রোগব্যাধি দমন প্রভৃতি বিষয়গুলো সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
আরও দেখুনঃ