ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ ভিটামিন ই আজকের আলোচনার বিষয়। “ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ ভিটামিন ই [ Vitamin E Deficiency Disease ]” ক্লাসটি “পোলট্রি রেয়ারিং এন্ড ফার্মিং ১ [ Poultry Rearing & Farming 1 ]” কোর্সের পাঠ্য। “ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ ভিটামিন ডি [ Vitamin D Deficiency Disease ]” ক্লাসটি এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) [ SSC & Dakhil (Vocational) ] এর ৪র্থ অধ্যায়ের [ Chapter 4 ] পাঠ। নিয়মিত ক্লাস পেতে গুরুকুল কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ গুরুকুলে যুক্ত থাকুন।
ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ ভিটামিন ই
মুরগির ভিটামিন
মুরগির ভিটামিনকে দুই বাগে ভাগ করা যায়। যথা-
- চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন
- পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন
চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন
যে সকল ভিটামিন তেল বা চর্বিতে দ্রবিভুত হয় তাদের কে চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বলা হয়। এ সকল ভিটামিন গুলো হলো-
- ভিটামিন এ
- ভিটামিন ডি
- ভিটামিন ই
- ভিটামিন কে
মুরগির ভিটামিন ই এর অভাবজনিত রোগ
ভিটামিন-ই হাঁস মুরগির দেহের প্রজনন ক্ষমতা স্বাভাবিক অবস্থায় রাখতে সাহায্য করে এবং ডিমের উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করে। তাছাড়া শরীরের সেলেনিয়াম এর কার্যকারিতা ঠিক রাখে।
মুরগির ভিটামিন ই এর অভাবজনিত লক্ষণ
- ডিম মেশিন বসানো চারদিন দিনের মধ্যে ভ্রূণ মারা যায়।
- মুরগির বাচ্চা তে এনসেফালোমাইলাইটিস রোগ হয়।
- এ রোগে মুরগির বাচ্চা মাথার বিভিন্ন জায়গায় হয় এবং নরম হতে থাকে। ফলে মুরগির বাচ্চা মাথা ও ঘাড় পিছনের দিকে পা সামনের দিকে বাঁকা করে রাখে।
- হাঁস মুরগির মাথা কাত করে বৃত্তাকারে ঘুরতে দেখা যায়।
- বাড়ন্ত বাচ্চার দৈহিক বৃদ্ধিতে বেঘাত ঘটে।
- নরম হয় এবং ফুলে যায় মোরগের প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়।
মুরগির ভিটামিন-ই প্রাপ্তির প্রাকৃতিক উৎস
- গমের ভুসি,
- চাউলের কুঁড়া,
- সয়াবিন মিল,
- অঙ্কুরিত ছোলা,
- গম ও
- ভুট্টা।
ভিটামিন ই এর অভাব প্রতিকার
ভিটামিন এ,ডি,ই লিকুইড ও পাওডার ফর্মে পাওয়া যায়। ভিটামিন ই ও সেলিনিয়াম একসাথে ওরাল সলুসন বা সিরাপ পাওয়া যায়। এগুরো খাওয়ানো যেতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ
- হাঁস মুরগির সুষম খাদ্যে পরিমাণ মতো ভিটামিন প্রিমিক্স দিয়ে খাদ্য প্রস্তুত করা উচিত।
- খাদ্যে অতিরিক্ত চর্বি কমানো উচিত।
- যে কোন খাদ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মেশানো উচিত।
- খাদ্যে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সেলেনিয়াম থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ ভিটামিন ই নিয়ে বিস্তারিত ঃ
আরও দেখুনঃ