ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ সালমোনেলোসিস | পোলট্রি রেয়ারিং এন্ড ফার্মিং

ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ সালমোনেলোসিস আজকের আলোচনার বিষয়। “ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ সালমোনেলোসিস [ Salmonellosis is a bacterial disease ]” ক্লাসটি “পোলট্রি রেয়ারিং এন্ড ফার্মিং ১ [ Poultry Rearing & Farming 1 ]” কোর্সের পাঠ্য। “ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ সালমোনেলোসিস [ Salmonellosis is a bacterial disease ]” ক্লাসটি এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) [ SSC & Dakhil (Vocational) ] এর ৪র্থ অধ্যায়ের [ Chapter 4 ] পাঠ। নিয়মিত ক্লাস পেতে গুরুকুল কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ গুরুকুলে যুক্ত থাকুন।

 

ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ সালমোনেলোসিস

মুরগির ফাউল টাইফয়েড রোগ ছড়ানোর মাধ্যম

সালমোনেলা গ্যালিনেরাম নামক এক প্রকার গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া থেকে মোরগ-মুরগি তে এই রোগ হয়ে থাকে।

  1. পুলোরাম  রোগের মত ডিমের  মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়।
  2. আক্রান্ত মুরগি বা বাহক পাখির পায়খানা ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ দিয়ে খামারের লিটার, খাদ্য, পানি, ইত্যাদি দূষিত হয়।এ দূষিত লিটার, খাদ্য ও পানির মাধ্যমে সুস্থ মুরগিতে এ রোগটি সংক্রমিত হয়।
  3. মানুষের ব্যবহৃত জামা, জুতা এবং খামারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে এ রোগ জীবাণু আক্রান্ত খামার হতে অন্য আমারে সংক্রমিত হয়।

 

রোগ সালমোনেলোসিস

 

মুরগির ফাউল টাইফয়েড রোগের লক্ষণ

  1. খাদ্য খাওয়া বন্ধ করে চুপচাপ বসে থাকে।
  2. মুরগির সবুজ হলুদ ডায়রিয়া দেখা যায়।
  3. বাড়ন্ত ও প্রাপ্তবয়স্ক পাখিতে জ্বর, উত্তেজনা দেখা দেয় এবং পরে নিস্তেজ হয়ে মারা যায়।
  4. মৃত্যুর হার ৫ থেকে ৬০% হয়ে থাকে যা রোগের সংক্রমণ দেখা দেয়ার ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ঘটে থাকে।

পোস্টমর্টেম রিপোর্ট

  1. যকৃত বা কলিজা এবং প্লীহা বড় হয়।
  2. যকৃত  ও  প্লীহা তে রক্তের অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ওটা দেখতে পাওয়া যায়।

মুরগির সালমোনেলা রোগের চিকিৎসা

পুলোরাম রোগের জন্য যে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে সেসব ঔষধ থেকে যে কোন একটি ঔষধ মুরগির সালমোনেলা রোগের চিকিৎসায় প্রয়োগ করা যেতে পারে।

  1. ক্লোরামফেনিকল, জেন্টামাইসিন, নিওমাইসিন, এম্পিসিলিন, স্ট্রেপটোমাইসিন, টেট্রাসাইক্লিন ও সালফোনামাইড গ্রুপের ওষুধ (০.৫%) বাচ্চা ফোটার দিন থেকে শুরু করে ১০-১৫ দিন পানি বা খাদ্যের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।
  2. ট্রাইমিথোপ্রিম প্লাস সালফাডায়াজিন (৬০+৩০০ মিগ্রা) প্রতি লিটার খাবার পানিতে মিশিয়ে ৭ দিন খাওয়াতে হবে।
  3. সেফক্সিটিন প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ৫০ মাইক্রোগ্রাম হিসাবে মুরগির মাংসপেশীতে প্রয়োগ করলে উপকার পাওয়া যায়।

 

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা

যেসব উৎস হতে মুরগির সালমোনেলা রোগ ছড়াতে পারে সেসব উৎস কে যথাযথভাবে প্রতিহত করতে পারলে এ রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। মুরগির খামারের জীবনিরাপত্তা ব্যবস্থা সবসময় জোরদার করা উচিত। নিয়মিতভাবে খামার ও খামারে ব্যবহার্য সকল সরঞ্জামাদি পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন করে কার্যকর জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।। ব্রিডিং স্টকের মুরগী নিয়মিত পরীক্ষা করে পজিটিভ কেসের সকল মুরগী ধ্বংস করতে হবে। এ ব্যবস্থা নিশ্চিত করলে মুরগী ফাউল টাইফয়েড রোগ থেকে মুক্ত থাকবে।

ফাউল টাইফয়েড ভ্যাকসিন

ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ফাউল টাইফয়েড রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য লেয়ার ব্রিডারকে ৯ সপ্তাহ বয়সের সময় এ রোগের ভ্যাকসিন একবার (০.৫ মিলি) এবং ১৭ সপ্তাহ বয়সের সময় দ্বিতীয় বার (০.৫ মিলি) চামড়ার নীচে ইনজেকশন করতে হয়।

এ ব্যবস্থা নেয়া হলে এদের বাচ্চা রোগমুক্ত হবে। তবে সুস্থ লেয়ার বাচ্চাকে একই কর্মসূচি মোতাবেক ভ্যাকসিন দেয়া উচিত। এ ভ্যাকসিন দেশেই পাওয়া যায়।

ব্রয়লার মুরগির সালমোনেলা রোগ থেকে মুক্ত রাখতে মুরগি কে নিয়মিত সালমোনেলা ধ্বংসের এন্টিবায়টিক ব্যবহার করতে হবে। সেই সাথে মুরগিকে পিএইচ বা এসিডিফায়ার ঔষধ খাওয়াতে হবে।

 

নেক্রেটিক এন্টারাইটিস

 

ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ সালমোনেলোসিস নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment