পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২১

‘পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২১ বিধিমালা টি প্রণয়ন করা হয়েছে পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১১ এর ধারা ২৭ এর প্রদত্ত ক্ষমতা বলে। এই বিষয়ে সরকার নিম্নরূপ বিধিমালা প্রণয়ন করিল, যথাঃ

 

পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২১

পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২১

বিধিমালাটির চুড়ান্ত পিডিএফ গেজেট ডাউনলোড করুন : পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২১ – গেজেট

 

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন: ১। (১) এই বিধি ‘পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২১’  নামে অভিহিত হইবে।  

 

সংজ্ঞা: ২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই বিধিমালায়-

(১) ‘আইন’ অর্থ  পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৬ নং আইন);

(২) ‘কর্মী’ অর্থ  গবাদিপশু জবাইকালে সহায়তাকারী বা কারকাস পৃথকীকরণ বা মাংস ছড়ানো বা প্রক্রিয়াজাতকরণ কাজে বা বিক্রয় কাজে প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি;

(৩) কাঁচা মাংসঅর্থ কারকাস হইতে পৃথকীকৃত খন্ড (Cut) বা টুকরা টুকরা বা কিমাকৃত মাংস, হাড়সহ বা হাড়ছাড়া, মেরিনেটেড বা নন-মেরিনেটেড, কিন্তু আংশিক বা সম্পূর্ণ রান্নাকৃত নহে ;

(৪) ‘কারখানা’ অর্থ কর্মী ব্যবস্থাপনার ও স্বয়ংক্রিয় বা স্বয়ংক্রিয় নয় যন্ত্রাদি চালনার মাধ্যমে পরিচালিত জবাইখানা ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ, বিক্রয় স্থাপনাসহ বা ব্যতীত, এমন অবকাঠামো।

(৫) ‘গবাদিপশু’ অর্থ আইনের ধারা ২ এর উপধারা ১২(অ) এবং (আ) তে বর্ণিত যে কোন পশু বা উপধারা (ঈ) এর অধীন ঘোষিত যে কোন পশু;

(৬) জবাই পূর্ব পরিদর্শন অর্থ ভেটেরিনারিয়ান বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা কতৃক জবাইয়ের পূর্বে গবাদিপশু বা পাখিজাতীয় প্রাণী জবাই উপযুক্ত কিনা তাহা  পর্যবেক্ষণ ও উহার উপযুক্ততা বা কারণসহ অনুপযুক্ততা বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান;

(৭) জবাই  পরবর্তী  পরিদর্শন অর্থ ভেটেরিনারিয়ান বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা কর্তৃক জবাইকৃত গবাদিপশুর বা পাখিজাতীয় প্রাণীর  কারকাস, অফাল অথবা উহাদের বিভিন্ন অংশ পর্যবেক্ষণ, প্রয়োজনে পরীক্ষণ, এবং মাংস ভক্ষণযোগ্য বা কারণসহ ভক্ষণঅযোগ্য মর্মে সিদ্ধান্ত প্রদান;

(৮) ‘জীবাণুমুক্তকরণ’ অর্থ নির্ধারিত মাত্রার তাপ প্রয়োগ বা রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগ বা উভয়ই প্রয়োগ করিয়া বা অন্যান্য প্রক্রিয়ায় কোন কক্ষ বা পরিবহনের মেঝে, দেয়াল, ছাদ বা ব্যবহৃত কোন যন্ত্রাদি বা পাত্র ও প্যাকেটে  জীবাণুর সংখ্যা হ্রাসকরণ বা প্রবেশ রোধকরণ যাহাতে মাংসের ভক্ষণযোগ্যতা অটুট থাকে;

(৯) জুনোটিক রোগঅর্থ তফসিল-৫ এ বর্ণিত যে কোন সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ যাহা প্রাণি থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়।

(১০) ‘পরিদর্শক’ অর্থ আইনের ধারা ২৬ মোতাবেক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা;

(১১) পরিদর্শন অর্থ আইনের উদ্দেশ্য অর্জনে এই বিধির অধীন মহাপরিচালক বা পরিদর্শক বা ভেটেরিনারিয়ান বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা কর্তৃক কোন স্থাপনায় প্রবেশ, সরেজমিন পর্যবেক্ষণ ও পর্যবেক্ষিত বিষয়ে কারণসহ সিদ্ধান্ত প্রদান;

(১) ‘পরিস্কারকরণ’ অর্থ

ক) কারকাস বা মাংস হইতে দৃশ্যমান সব ময়লা বা উচ্ছিষ্টাংশ অপসারণ করা (যেমন পাকস্থলির ভেতরের খাদ্য, ধূলা, রেলের তৈল, পশম, গোবর, চুল, পিত্ত, প্রস্রাব, কৃমি ও রোগাক্রান্ত অংশ);

খ) সরঞ্জাম, পাত্র এবং ব্যবহৃত পোশাক হইতে  দৃশ্যমান  ময়লা বা উচ্ছিষ্টাংশ অপসারণ, জীবাণুমুক্ত এবং দুর্গন্ধ মুক্ত করা;

গ) স্থাপনার ক্ষেত্রে উহার মেঝে, দেয়াল ও ছাদ এবং এতদসংলগ্ন নিস্কাশন নালা বা গর্ত ধোয়া ও জীবাণুমুক্ত করা;

(১৩) ‘পাখিজাতীয় প্রাণি’  অর্থ আইনের ধারা ২ এর উপধারা ১২(ই) তে বর্ণিত পাখি বা দফা (ঈ) এর অধীন  ঘোষিত যে কোন পাখি।

(১৪) ‘প্রত্যয়নপত্র’ অর্থ তফসিল-৬ অনুসারে প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র।

(১৫) ‘ফি অর্থ এই বিধির অধীনে ক্যাটাগরি ভিত্তিক জবাইখানা বা কারখানা বা মাংস বিক্রয় স্থাপনা পরিচালনার  নিমিত্তে লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত ফি।

(১৬) ‘মাংস খন্ড (Meat Cut) অর্থ কারকাসের অংগ বা উপাংগ ভিত্তিক যে কোন আকারের সকল বা যে কোন মাংস খন্ড।

(১৭) মাংস প্রক্রিয়াকরণ অর্থ  কাঁচা মাংস যাহা ২৪ ঘন্টার বেশি সময়ের জন্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে শীতলীকরণকৃত বা হিমায়িত, প্যাকেটকৃত বা কৌটাকৃত বা এইরূপ অবস্থায় পরিবহন;

(১৮) মাংস বিক্রয় অর্থ এই বিধির অধীন কোন মাংস বিক্রয় স্থাপনায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত হইয়া কাঁচা মাংস বিক্রয় বা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে প্রদর্শন;

(১৯) ‘মান নিয়ন্ত্রণ’ অর্থ আইনের ধারা ২১ মোতাবেক মহাপরিচালক কর্তৃক মান নির্ধারণ এবং মান বজায় রাখিবার উদ্দেশ্যে যে কোন কার্যক্রম।

(২০) ‘মেরিনেটেড’ এর অর্থ কাঁচা মাংসের কাট বা টুকরা টুকরা মাংসকে ভিনেগার বা লেবুর রসে বা আম বা পেপের এনজাইমে বা মশলাসহ ভোজ্য তৈলে বা সয়া সসে ভিজাইয়া রান্নার উপযুক্ত করিবার এবং সুগন্ধ ও মাংসের বাহ্যিক গঠনের পরিবর্তন (Flavour and ‍ surface texture) আনয়নের জন্য অনধিক বারো ঘন্টার জন্য সংরক্ষণ;

(২১) রোগ অর্থ পশু রোগ আইনের ধারা ২ এর উপধারা (ঙ) এর অধীন বর্ণিত রোগ;

(২২) ‘লেবেলিং (Labeling)’ অর্থ বিধি-২৪ মোতাবেক লেবেলে তথ্য যুক্তকরণ।

(২৩) ‘হিমায়িতকরণ (Freezing)’ অর্থ ০ (শূণ্য) ডিগ্রী ফারেনহাইট বা (-) ১৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় মাংস সংরক্ষণ ।

(২৪) ‘সর্বোত্তম ভোগের তারিখ’ অর্থ তাপমাত্রার উপর ভিত্তি করিয়া মজুত বা প্রক্রিয়াজাত মাংস লেবেলে উল্লিখিত যে তারিখ পর্যন্ত ভক্ষণযোগ্য থাকিবে;

(২৫) ‘সংক্রামক রোগ’ এর অর্থ তফসিল-৫ তে বর্ণিত যে কোন এক বা একাধিক রোগ।

 (২৬) ‘স্থাপনা’ অর্থ জবাইখানা বা কারখানা বা উক্ত জবাইখানা বা কারখানায় সাময়িকভাবে পশু রাখিবার স্থান (Stackyard) বা মাংস বিক্রয় স্থাপনা বা জবাইয়ের উদ্দেশ্যে পশু বা মাংস পরিবহনে ব্যবহৃত যানবাহন;

(২৭) ‘HACCP’ অর্থ Hazard Analysis and Critical Control Point যাহা স্থাপনার দৈনন্দিন কার্যক্রমে  খাদ্য হিসাবে মাংসের নিরাপদতা রক্ষণে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও অনুসরণীয় পদ্ধতি।

 

গরু Cow 21 পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২১

 

৩। প্রযোজ্যতা।– এই বিধিমালা আইনের অধীন বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে শুধু গবাদিপশু ও পাখিজাতীয় প্রাণী জবাই, মাংস প্রক্রিয়াকরণ, মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ এবং মাংস বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।

 

৪। গবাদিপশু জবাই পদ্ধতি, ইত্যাদি জবাইখানায় গবাদিপশুর জবাই নিম্নবর্ণিত শর্তাবলীর আওতায় হইতে হইবে- (১) জবাইয়ের আগে গবাদিপশুকে ০৩(তিন) দিন কোন প্রকার কায়িক পরিশ্রম ব্যতীত বিশ্রামে রাখিতে হইবে।

(২) গবাদিপশু জবাইয়ের ১২ (বার) ঘন্টা থেকে ২৪ (চব্বিশ) ঘন্টা পূর্ব পর্যন্ত  পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত পানি ছাড়া অন্য কোন খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত রাখিতে হইবে।

(৩) জবাইয়ের পূর্বে গবাদিপশুর শরীর ভালভাবে পরিষ্কার করিতে হইবে, যাহাতে উহার শরীরে কোন ময়লা বা গোবর লাগিয়া না থাকে।

(৪) একই বা ভিন্ন প্রজাতির যাহাই হউক একটি গবাদিপশুর সামনে অন্য গবাদিপশু জবাই করা যাইবে না।

(৫) জবাইকালীন গবাদিপশু সুস্থ ও জীবিত হইতে হইবে।

(৬) বিধি ১৮ মোতাবেক সংক্রামক রোগমুক্ত সনদধারী জবাইকারী  দ্বারা গবাদিপশু জবাই করিতে হইবে এবং  জবাইয়ের ক্ষেত্রে কোন ধর্মীয় অনুশাসন বা পদ্ধতি জানা আবশ্যক হইলে তাহা তাহাকে অবহিত থাকিতে হইবে এবং যথাযথভাবে প্রয়োগ করিতে হইবে।

(৭) স্বয়ংক্রিয় বা যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জবাই করা যাইবে না, তবে যন্ত্রের দ্বারা গবাদিপশুকে জবাইয়ের উদ্দেশ্যে শোয়ানোর কাজ করানো যাইবে।

(৮) জবাইকারীকে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত পোশাক পরিধান করিতে হইবে।

(৯) জবাইয়ের জন্য ব্যবহৃত ছুরি বা যন্ত্রাদি জীবাণুমুক্ত এবং ধারালো হইতে হইবে ।

(১০)জবাইকালে ছুরি একাধারে সামনে পেছনে চালনা করিয়া শ্বাসনালি (Trachea), খাদ্যনালি (Oesophagus), ক্যারোটিড ধমনী (Carotid artery) এবং  জুগুলার রক্তনালি (Jugular Vein) কাটা নিশ্চিত করিতে হইবে।

(১১) শুকর এবং গবাদিপশু জবাই করা বা উহাদের কারকাস বা অফাল একই স্থানে রাখা যাইবে না।

(১২) আক্রান্ত হইবার ভয় থাকিলে বা উত্তেজিত গবাদিপশুকে প্রয়োজনে শান্ত করিবার প্রয়োজনে ভেটেরিনারিয়ান বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তার তত্বাবধানে জবাইয়ের পূর্বে তড়িতাহত (Stunning) করিয়া জবাই করা যাইবে এবং এইরূপ করা হইলে তাহা জবাইখানার নির্দিষ্ট রেজিস্টারে উল্লেখ করিতে হইবে এবং লেবেলেও উল্লেখ করিতে হইবে।

(১৩) জবাইখানায়  কোন অপ্রাপ্তবয়স্ক বা মানসিকভাবে অসুস্থ  কোন ব্যক্তিকে  নিয়োগ দেওয়া যাইবে না।

(১৪) হালাল মাংসের প্রয়োজনে জবাই পদ্ধতি বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করিতে হইবে।

(১৫) জবাইকৃত গবাদিপশুর মৃত্যু নিশ্চিত হইবার পরে শরীর হইতে চামড়া ছাড়ানোর (Dressing) কাজ করা যাইবে।

৫। গবাদিপশু জবাইয়ের স্থান, ইত্যাদি (১) নিম্নবর্ণিত স্থান ব্যতীত গবাদিপশু জবাই করা যাইবে না:

(ক) সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত জবাইখানা ও কারখানায় স্থাপিত নির্ধারিত জবাইখানা।

(খ) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বা সরকার কর্তৃক গবাদিপশু জবাইয়ের উদ্দেশ্যে হাট বা বাজারের  নির্ধারিত স্থান বা স্থাপিত জবাইখানা।

(২) উপবিধি (১) এ যাহাই উল্লেখ থাকুক না কেন  নিম্নবর্ণিত শর্তসাপেক্ষে অন্য যে কোন স্থানে গবাদিপশু জবাই করা যাইবেঃ-

(ক) গবাদিপশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে জবাইয়ের স্থানটি পরিষ্কার, উঁচু এবং নালা নর্দমা থেকে দূরে হইতে হইবে ।

(খ) স্থানটি সেই পরিমান প্রশস্ত হইবে যাহাতে জবাইয়ের উদ্দেশ্যে গবাদিপশুকে সহজে শোয়ানো যায়।

(গ) জবাইয়ের স্থানের মেঝে স্যাঁতস্যাঁতে, ভেজা বা পিচ্ছিল রাখা যাইবে না।

(ঙ) পর্যাপ্ত পরিস্কার পানি সরবরাহ বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখিতে হইবে।

(চ) জবাইয়ের পরে গবাদিপশুর নির্গত রক্ত ধৌত করা পানি ও অন্যান্য বর্জ্য সহজেই অপসারণের জন্য পৃথক নালাসহ সংযুক্ত ন্যূনতম ২(দুই) ফুট গভীর গর্ত করিতে হইবে এবং সকল অপসারণযোগ্য বর্জ্য সুচারুভাবে নির্মিত গর্তে ফেলিয়া মাটি দিয়া ঢাকিয়া দিতে হইবে, তবে বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে বর্জ্য বা উহার কোন অংশ সংগ্রহ করিতে হইলে তাহা  জবাই পরবর্তীকালে আলাদাভাবে সংগ্রহ  করিবার পর  পৃথক স্থানে জমা করিতে হইবে এবং জবাইয়ের ছয় ঘন্টার মধ্যে অপসারণ করিতে হইবে ।

(ছ) কারকাস বা মাংসের কাট অপসারণের পর জবাইয়ের স্থান নির্ধারিত মাত্রায়  ব্লিচিং পাউডার  বা অন্য কোন জীবানুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করিতে হইবে।

(৩) কারখানায় জবাইখানা স্থাপনের শর্তাবলী নিম্নরূপ হইবেঃ-

(ক) জবাইখানা এবং জবাইয়ের জন্য সাময়িকভাবে পশু রাখিবার স্থান পৃথক হইতে হইবে।

(খ) ভিসেরা বা উহার অভ্যন্তরস্থ বর্জ্য এবং রক্ত একইস্থানে স্তূপীকৃত করা যাইবে না।

(গ) তরল বা কঠিন কোন বর্জ্য নদী বা নালায় বা উন্মুক্ত স্থানে নিষ্কাশনের মাধ্যমে নিস্পন্ন করিবার ব্যবস্থা অবকাঠামোতে থাকিতে পারিবে না।

(ঘ) জবাইয়ের স্থান পিচ্ছিল বা স্যাঁতস্যাঁতে রাখা যাইবে না।

(ঙ) গবাদিপশুকে জবাইয়ের জন্য শোয়ানোর প্রক্রিয়া অবশ্যই উহার জন্য কম ক্লেশপূর্ণ হইতে হইবে।

(চ) জবাইখানায় পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকিতে হইবে।

(ছ) জবাইখানার নকশা এমনভাবে প্রণয়ন করিতে হইবে যাহাতে কারকাস বা মাংসে রাগ-জীবাণুর সংক্রমণের সম্ভাবনা শূণ্য পর্যায়ে থাকে এবং জবাই হইতে মাংস প্রক্রিয়াকরণ দিকে কাঁচা মাংসের প্রবাহ একমুখি অর্থাৎ রেড জোন হইতে ইয়েলো জোন হইয়া গ্রীন জোন অভিমুখী হইতে হইবে।

(ব্যাখ্যা- ‘রেড জোন’ অর্থ সংযতকরণ (Restraining), জবাই, জবাই পরবর্তী কারকাস পরীক্ষা ও পরিষ্কারকরণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কারখানার নির্ধারিত অঞ্চল, যেখানে কারকাসে সংক্রমণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।

‘ইয়েলো জোন’ অর্থ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে মাংসের তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড এ নির্দিষ্ট রাখিয়া প্রক্রিয়াকরণের জন্য কারখানার নির্ধারিত অঞ্চল বা শীতলীকরণ কক্ষ (Chiller) এবং

‘গ্রীন জোন’ অর্থ মাংস খন্ড প্রস্তুতকরণ ও মাংস হইতে হাড়পৃথকীকরণ, মান নিয়ন্ত্রণ করিয়া মোড়কজাতকরণ ও সংরক্ষণ ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কারখানার নির্ধারিত অঞ্চল, যেখানে সংক্রমণের হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে বা সংক্রমণ মুক্ত থাকিবে ।)

(জ) জবাইয়ের পরে গবাদিপশুর নির্গত রক্ত ধৌত করা পানি ও অন্যান্য বর্জ্য সহজেই অপসারণ এর জন্য পৃথক নালাসহ নির্দিষ্টকৃত গর্তের দিকে প্রবাহিত করিবার ব্যবস্থা থাকিতে হইবে,  তবে (গ)বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে ভিসেরা বা উহার কোন অংশ সংরক্ষণ করিতে হইলে কারকাস সংরক্ষণ বা  মাংস কাটার স্থান হইতে নিরাপদ দূরত্বে পৃথক স্থানে বায়ুরোধক পাত্রে সংরক্ষণ করিতে হইবে এবং জবাইয়ের ছয় ঘন্টার মধ্যে কারখানা হইতে অপসারণ করিতে হইবে ।

(ঝ) প্রত্যেক জবাইখানায় রোগাক্রান্ত অফাল বা ভিসেরা বা উহাদের অংশ সংরক্ষণ করার জন্য বায়ু রোধক নিরাপদ পাত্র মজুদ রাখিতে হইবে।

(ঞ) জবাইখানায় পর্যাপ্ত পরিস্কার ও ঠান্ডা পানি সরবরাহের ব্যবস্থা থাকিতে হইবে।

(ট) জবাইখানার যন্ত্রাদি ভালভাবে চর্বিমুক্ত ও পরিষ্কার করার জন্য পর্যাপ্ত গরম পানি সরবরাহের ব্যবস্থা থাকিতে হইবে।

(ঠ) গবাদিপশুর এবং মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামাদি মজুত থাকিতে হইবে।

(ড) কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানার সর্বত্র মাংসের মান রক্ষার্থে উহার ভৌত, রাসায়নিক  ও জৈবিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত মান নিয়ন্ত্রণ  নিশ্চিত করিবেন।

(৪)  কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি (Personal hygiene)  প্রতিপালনে জবাইয়ের জন্য গবাদিপশু বা উহার কারকাস বা মাংস হ্যান্ডলিং (Handling) এর জন্য নিয়োজিত কর্মী এবং হ্যান্ডলিং এলাকায় আগত দর্শনার্থীর সকলকে –

(ক) হালকা রং এর সহজে ধোয়া যায় এমন পরিচ্ছন্ন কাজের পোশাক (Appron), জুতা, টুপি, মাস্ক এবং প্রয়োজনে ঘাড়বর্ম (Neck shield) ব্যবহার করিতে হইবে।

(খ) কাজ শুরুর পূর্বে এবং পরে হাত পরিষ্কার করিয়া ধুইয়া জীবাণুমুক্ত করিতে হইবে।

(গ) মাংস হাত দিয়া ধরিবার ক্ষেত্রে পানিরোধক হাত মোজা (Gloves) ব্যবহার করিতে হইবে ।

(ঘ) অপরিচ্ছন্ন এবং মাংস বা রক্ত বা অন্য কোন আবর্জনা লাগিয়া আছে এমন পোশাক পরিয়া কাজে যোগ দেওয়া যাইবে না।

(ঙ) গবাদিপশু জবাই বা মাংস প্রস্তুতকরণের সাথে যাহারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত তাহাদের কর্মজীবনের শুরুতে এবং প্রতিবছর বিধি ১৮ মোতাবেক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিতে হইবে এবং এই সংক্রান্ত রেকর্ড সংরক্ষণ করিতে হইবে;

(চ) ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত কর্মীকে কর্ম হইতে বিরত রাখিতে হইবে।

(ছ) জবাইখানা বা মাংস প্রক্রিয়াকরণ বা সংরক্ষণ করা হয় এমন কোন কক্ষে বা যাতায়াতের পথে খাদ্য গ্রহণ এবং ধুমপান  করা যাইবে না।

(জ) কোন কর্মী জবাইখানা বা প্রক্রিয়াকরণ করা হয় এমন স্থানের বাহিরে গমন করিলে  কর্মে যোগদানের পূর্বে  তাহাকে পুনরায় জীবাণুমুক্ত হইতে হইবে।

(ঝ) জবাইকারী বা কোন কর্মীর গায়ে ঘা, কাটা বা থেতলানো (Abrasion) থাকিলে যদি তা পুঁজযুক্ত (Purulent) হয় তবে তিনি সংশ্লিষ্ট কাজের উপযুক্ত হইবেন না।

(৫) পশুরোগ আইন, ২০০৫ এর অধীন প্রণীত পশুরোগ বিধিমালা, ২০০৮ এর তফসিল ৭(ছ) এবং তফসিল ৭(জ)-এ উল্লেখিত  মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপনের শর্তাবলী, সরঞ্জামাদি, কারখানা কার্যক্রম পরিচালনা, কর্মীদের স্বাস্থ্য বিধি , মোড়ানো বা প্যাকেট করা এবং সংরক্ষণ বা গুদামজাত করা  সংক্রান্ত সকল বিধি-বিধান প্রযোজ্য হইলে তাহা প্রয়োগযোগ্য হইবে।

(৬) উপবিধি (৫) এ যাহাই উল্লেখ থাকুক না কেন, মহাপরিচালক  পশুরোগ বিধিমালা, ২০০৮ এর  তফসিল ৭(ছ) এবং তফসিল ৭(জ) এর মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপনের শর্তাবলী, সরঞ্জামাদি, কারখানা কার্যক্রম পরিচালনা, কর্মীদের স্বাস্থ্য বিধি, মোড়ানো বা প্যাকেট করা এবং সংরক্ষণ বা গুদামজাত করা  সংক্রান্ত প্রয়োগযোগ্য অতিরিক্ত যে কোন শর্ত নির্ধারণ করিয়া এই বিধিমালার অধীন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জারি করিতে পারিবেন।

 

গরু Cow 12 পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২১

 

৬। পাখিজাতীয় প্রাণীর জবাইখানা ও জবাই পদ্ধতি ইত্যাদি।– পাখিজাতীয় প্রাণীর জবাইয়ের শর্তাবলীঃ-

(১) জবাইয়ের জন্য খামার হইতে যতটা সম্ভব ক্লেশহীন অবস্থায় পাখিজাতীয় প্রাণী কারখানার জবাইখানায় আনয়ন করিতে হইবে এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখিজাতীয় প্রাণী একই খাঁচা বা ক্রেটে পরিবহন করা যাইবে না।

(২) পরিবহনের জন্য খাঁচা বা ক্রেটের  আকার বিবেচনা করিয়া উহাতে পাখিজাতীয় প্রাণীর প্রজাতি ও সংখ্যা নির্ধারণ করিতে হইবে যাহাতে উহারা স্বস্তি দাঁড়াইতে পারে এবং সহজে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করিতে পারে।

(৩)  একটানা ১০০ (একশত) কিলোমিটার দূরত্ব বা তিনঘন্টার অধিক ভ্রমনকাল হইলে পথে  অনুরূপ দূরত্ব বা সময়ের পরে কোন পরিচ্ছন্ন এবং ছায়াযুক্ত স্থানে যাত্রা বিরতি দিতে হইবে, তবে কোন পাখিজাতীয় প্রাণী অসুস্থ না হইলে  যানবহন হইতে নামানো যাইবে না।

(৪) পথে কোন পাখিজাতীয় প্রাণী অসুস্থ হইলে তাহাকে পৃথক করিয়া বহন করিতে হইবে এবং প্রয়োজনে নিকটস্থ উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিসকে অবহিত করিয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।

(৫) ভেটেরিনারি কর্মকর্তা পরিদর্শন বা চিকিৎসাকালে পরিবহনে থাকা কোন পাখিজাতীয় প্রাণী সংক্রামক বা জুনোটিক রোগে আক্রান্তের বিষয় নিশ্চিত হইলে পশু রোগ বিধিমালা, ২০০৮ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা করিতে হইবে।

(৬) পাখিজাতীয় প্রাণী যানবাহনে উত্তোলনের পূর্বে এবং অবতরণের পরে ব্যবহৃত খাঁচা বা ক্রেটসহ যানবাহন পরিচ্ছন্ন এবং জীবাণুনাশক ব্যবহার করিয়া পরিস্কার করিতে হইবে।

(৭) কারখানার  জবাইখানায় প্রবেশের পূর্বে ভেটেরিনারিয়ান কর্তৃক প্রতিটি পাখিজাতীয় প্রাণীর স্বাস্থ্য যাঁচাই করিয়া শুধু সুস্থ পাখিজাতীয় প্রাণী জবাইয়ের জন্য উপযুক্ত মর্মে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা হইলে তাহা জবাইখানায় গ্রহণ করিতে হইবে এবং অসুস্থ পাখিজাতীয় প্রাণী তাৎক্ষণিকভাবে আলাদা করিয়া পৃথকস্থানে রাখিয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে বা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হইলে পশুরোগ বিধিমালা, ২০০৮ এর আলোকে নিস্পত্তি করিতে হইবে।

(৮) জীবিত ও সুস্থ  ব্যতীত মৃত বা অসুস্থ পাখিজাতীয় প্রাণী জবাইখানায় গ্রহণ করা যাইবে না।

(৯) সরকার অনুমোদিত হালাল পদ্ধতিতে  জবাই করিতে হইবে।

(১০) কারখানা কর্তৃপক্ষ মহাপরিচালক কর্তৃক নির্দেশিত বা অনুমোদিত ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা কারখানার সর্বত্র নিশ্চিত করিবে।

(১১) বিধিমালা প্রকাশিত হইবার ১৮০ দিনের মধ্যে পাখিজাতীয় প্রাণীর জবাইখানা ব্যবস্থাপনা ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে  ম্যানুয়াল বা নির্দেশিকা প্রস্তুত করিয়া সরকারের অনুমোদনক্রমে জারি করিবেন এবং এইরূপ গাইডলাইন বা নির্দেশিকা কারখানা মালিক বা কর্মীদের জন্য অবশ্য পালনীয় হইবে।

(১২) জবাইকৃত পাখিজাতীয় প্রাণীর মৃত্যু নিশ্চিত হইবার পর চামড়া বা পালক ছাড়ানোসহ পরবর্তী কাজ শুরু করা যাইবে।

(১৩) শুধু পালক বা পালকসহ চামড়া অপসারণের কাজ হাতে বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মাধ্যমে করা যাইবে।

(১৪) জবাইখানায় পরিস্কার পানি  এবং প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় বিশুদ্ধ পানির প্রবাহ থাকিতে হইবে এবং মেঝে, দেয়াল ও সিলিং এবং ব্যবহারের যন্ত্রাদি জীবাণুনাশক দ্বারা জীবাণুমুক্ত রাখিতে হইবে।

(১৫) রক্ত, ভিসেরা এবং পালক ভিন্ন ভিন্ন পাত্রে জমা রাখিয়া জবাইখানা বা কারখানার বাইরে দূরে মাটির গর্তে ফেলিয়া মাটি দ্বারা ঢাকিয়া দিতে হইবে।

(১৬) জবাইখানা হইতে কারকাসের পরবর্তী প্রক্রিয়াকরণ কার্যাদি পরিচালনা একমূখী হইতে হইবে।

(১৭) রক্ত বা তরল বর্জ্য নিষ্কাশন ও জমা করিবার জন্য যথাক্রমে পৃথক নালা এবং গর্ত থাকিতে হইবে।

(১৮) (ক) হাটে বা বাজারে  পাখিজাতীয় প্রাণীর জবাইখানা ন্যূনতম তিনকক্ষ বিশিষ্ট হইতে হইবে যাহার একটিতে জবাই করা হইবে, একটিতে চামড়া বা পালকসহ চামড়া অপসারণ এবং শেষেরটিতে ভিসেরা অপসারণপূর্বক পরিস্কার করিয়া  পানিতে ধৌতক্রমে  গ্রাহকের নিকট হস্তান্তর  করা হইবে।

(খ) জবাই কক্ষে রক্ত এবং পরের কক্ষে চামড়া বা পালকসহ চামড়া এবং তৃতীয় কক্ষে ভিসেরা ঢাকনাযুক্ত পৃথকপাত্রে সংরক্ষণ করিতে হইবে  এবং পাত্র পূর্ণ হইলে যথারীতি  অপসারণ করিয়া স্থানীয় বাজার কমিটি বা সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে মাটির গর্তে পুঁতিয়া দিতে হইবে।

(গ) কর্মীগণ সহজে পরিচ্ছন্নযোগ্য হালকা রংয়ের পোষাক পরিধান করিবেন, এক কক্ষ হইতে অন্য কক্ষে যাতায়াত করিতে পারিবেন না এবং সংক্রামক রোগমুক্ত হইবেন।

(ঘ) জবাই কার্যক্রম শুরুর পূর্বে এবং শেষে প্রতিদিন জবাইখানা পরিস্কারকরণ করিতে হইবে।

(ঙ) জবাইকৃত পাখিজাতীয় প্রাণীর রক্ত বাহির হওয়া এবং মৃত্যু নিশ্চিত হইবার জন্য  আবদ্ধ স্থান বা পাত্র থাকিতে হইবে।

(চ) মহাপরিচালক পাখিজাতীয় প্রাণীর মাংসের নিরাপদতা রক্ষার ক্ষেত্রে বিধি ২৫ মোতাবেক  বিজ্ঞপ্তি জারি করিতে পারিবেন।

 

গরু Cow 13 পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২১

 

৭। জবাইখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।- (১) কারখানায় জবাইকালীন গবাদিপশুর দেহ হইতে নির্গত রক্ত জবাইখানার বাহিরে একটি সুনিদিষ্ট গর্তে সংরক্ষণের জন্য নিষ্কাশন নালা থাকিতে হইবে এবং বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য  গর্ত হইতে  রক্ত সংগ্রহের পর উক্ত গর্ত জীবাণুনাশক দ্বারা  পরিস্কার করিয়া রাখিতে হইবে ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে Efluent Treatment Plant (ETP) এর ব্যবস্থা থাকিতে হইবে।

(২) চামড়া ছাড়ানোর পর নাড়িভূড়ি (Viscera) সাবধানতার সহিত অপসারণক্রমে ছিদ্রহীন পাত্রে সংগ্রহ করিতে হইবে এবং জবাইখানা ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের স্থান হইতে দূরে একটি নির্দিষ্ট কক্ষে বা স্থানে প্রক্রিয়াকরণের জন্য সংরক্ষণ করিতে হইবে।

(৩) প্রক্রিয়াজাতকালীন নাড়িভূড়ি হইতে অপসারিত বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ এলাকা হইতে দূরে সুনির্দিষ্ট গর্তে ফেলিয়া মাটি দিয়া ঢাকিয়া দিতে হইবে।

(৪) বর্জ্য অপসারণ এবং ভক্ষণযোগ্য ও আর্থিকভাবে লাভজনক দেহের অংশ স্থানান্তরের পর জবাইখানা জীবাণুনাশক দ্বারা ধৌত করিতে হইবে।

(৫) নাড়িভূড়ি বা বর্জ্য হিসাবে পরিতাজ্য কোন অংশে ক্ষত দেখিতে পাইলে কারখানা মালিক বা তাহার প্রতিনিধি তাৎক্ষণিকভাবে  ভেটেরিনারিয়ান বা সংশ্লিষ্ট উপজেলার  ভেটেরিনারি কর্মকর্তাকে তাহা অবহিত করিবেন এবং ভেটেরিনারি কর্মকর্তা তাহা পর্যবেক্ষণ করিয়া কোন সংক্রামক রোগের লক্ষণ বলিয়া অনুমান করিলে তাহা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করিবেন ও পরীক্ষাগারে প্রেরণ করিবেন।

(৬) ভেটেরিনারি কর্মকর্তা উপবিধি (৫) মোতাবেক নমুনার অংশ হউক বা না হউক নাড়িভূড়ি বা বর্জ্য  হিসাবে  ভক্ষণঅযোগ্য সকল অংশ ধ্বংস করিবেন এবং উক্ত গবাদিপশুর মাংস পরীক্ষার ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত  আটক  করিয়া নিরাপদ  প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণের আদেশ প্রদান করিবেন এবং এইক্ষেত্রে ভেটেরিনারিয়ান হইলে তিনি  নিরাপদ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া স্থানীয় ভেটেরিনারি কর্মকর্তাকে অবহিত করিবেন। ।

(৭) ভেটেরিনারিয়ান বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করিয়া আটক মাংস ধ্বংস করিবেন বা পরবর্তী প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য উপযুক্ত মর্মে আদেশ প্রদান করিবেন।

 

গরু Cow 17 পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২১

 

৮। জবাই নিষিদ্ধ গবাদিপশু- (১) নিম্নবর্ণিত অবস্থাধীন গবাদিপশু জবাই করিবার উদ্দেশ্যে জবাই খানায় আনয়ন বা জবাই করা যাইবে না:

(ক) গর্ভবতী গবাদিপশু;

(খ) লিঙ্গ নির্বিশেষে  নিম্নের ছকে উল্লেখিত  বয়সের নীচে কোন  গবাদিপশু :

গবাদিপশুর ধরণজবাইয়ের জন্য ন্যূনতম বয়স
গরু০৮ মাস
মহিষ০৮ মাস
ছাগল০৫ মাস
ভেড়া০৫ মাস
উট০১ বছর
দুম্বা০৬ মাস
খরগোস০৩ মাস

 

(গ) নিচের ছকে উল্লেখিত দুগ্ধবতী গবাদিপশু:

 গবাদিপশুদুগ্ধদানকাল (অনধিক)
গরু০৭ মাস
মহিষ০৭ মাস
ছাগল০৩ মাস
ভেড়া০৩ মাস
উট০৬ মাস
দুম্বা০৩ মাস
খরগোস০২ মাস

 

(ঘ) ভেটেরিনারিয়ান বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তার চিকিৎসাধীন সংক্রামক রোগাক্রান্ত কোন গবাদিপশু;

(ঙ) কোন গবাদিপশু দূর্ঘটনাজনিত জখমপ্রাপ্ত হইলে ভেটেরিনারি সার্জনের অনুমতি গ্রহণ ব্যতীত।

(চ) মৃতপ্রায় (Moribund) গবাদিপশু।

(২) (১) নিম্নবর্ণিত অবস্থাধীন পাখিজাতীয় প্রাণী জবাই করিবার উদ্দেশ্যে জবাই খানায় আনয়ন বা জবাই করা যাইবে না:

(ক) লিঙ্গ নির্বিশেষে  নিম্নের ছকে উল্লিখিত  বয়সের নীচে কোন  গবাদিপশু :

গবাদিপশুর ধরণজবাইয়ের জন্য ন্যূনতম বয়স
                 মুরগী৩৫দিন
হাঁস৫০দিন
রাজহাঁস৫০ দিন
কবুতর২০ দিন
কোয়েল৪৫দিন
টার্কি০৩ মাস

 

(খ) সংক্রামক রোগাক্রান্ত যে কোন বয়সের পাখিজাতীয় প্রাণী।

(৩) উপবিধি (১) ও (২)এ উল্লেখিত গবাদিপশু বা পাখিজাতীয় প্রাণীর অতিরিক্ত যে কোন অবস্থার গবাদিপশু  বা পাখিজাতীয় প্রাণী সরকারের অনুমোদন গ্রহণক্রমে মহাপরিচালক বিজ্ঞপ্তির জারির মাধ্যমে জবাই নিষিদ্ধ করিতে পারিবেন।

৯। জবাই পূর্ব গবাদিপশু পরীক্ষা।- (১) বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে মাংস উৎপাদনের জন্য গবাদিপশু জবাইয়ের পূর্বে জবাই উপযুক্ত গবাদিপশু মর্মে ভেটেরিনারিয়ান বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করিতে হইবে এবং জবাই পরবর্তী কোন অনুসন্ধানের স্বার্থে মহাপরিচালকের নির্দেশিত পদ্ধতিতে তাহা সংরক্ষণ করিতে হইবে;

(২) জবাই উপযুক্ত গবাদিপশু মর্মে প্রত্যয়নপত্র প্রদানের জন্য জবাইয়ের ২৪ ঘন্টা পূর্বে ভেটেরিনারিয়ান বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা জবাইয়ের জন্য প্রস্তুত গবাদিপশু পরীক্ষা করিবেন এবং কারখানা কর্তৃপক্ষ এইরূপ পরীক্ষাকালে ভেটেরিনারিয়ান বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করিবেন।

(৩) রেজিষ্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা জবাইপূর্ব পরীক্ষাকালে দাঁড়ানো এবং উত্তেজিত নয় এমন অবস্থায় গবাদিপশুর নিম্নোক্ত  পরীক্ষা করিবেনঃ–

(ক) শরীরের পরিচ্ছন্নতা।

(খ) বাহ্যিক আচরণ, যাহা কোন রোগের লক্ষণ।

(গ)  বয়স এবং ওজন।

(ঘ) শরীরের তাপমাত্রা।

(ঙ)  শ্বাস-প্রশ্বাস  ও হৃদস্পন্দনের হার।

(চ)  দাঁড়ানো বা চলাচলে কোন অস্বাভাবিকতা।

(ছ) সংক্রামক রোগের বাহ্যিক কোন লক্ষণ বা ক্ষত বা উহার চামড়া বা পশম, পরিপাকীয় অবশেষ ও শ্বসনতন্ত্র।

(জ) অঙ্গহানী থাকিলে ।

(৪) রেজিষ্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা- (ক) বিগত ৬ (ছয়) মাস গবাদিপশু যে খামারে বা এলাকায় লালিতপালিত হইয়াছে সে খামার বা এলাকার রোগ পরিস্থিতি সংক্রান্ত তথ্যাদি বিশ্লেষণ করিবেন।

(খ) জবাইপূর্ব ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে চিকিৎসাধীন থাকিলে তাহার ঔষধ প্রয়োগের ব্যবস্থাপত্র বিশ্লেষণ করিবেন।

(৫) উপবিধি (২) উল্লিখিত বিষয়াদি যাঁচাই-এ গবাদিপশু কোন সংক্রামক  রোগে আক্রান্ত প্রতীয়মান হইলে  দায়িত্বপ্রাপ্ত ভেটেরিনারিয়ান বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা বিবেচ্য গবাদিপশু জবাই উপযুক্ত মর্মে প্রত্যয়নপত্র  প্রদানে অস্বীকৃতি জানাইবেন এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ও একইসাথে  রোগের প্রকৃতি মোতাবেক একসাথে থাকা সকল গবাদিপশুর জন্য চিকিৎসা ও পশুরোগ বিধিমালা, ২০০৮ মোতাবেক সঙ্গনিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কারখানার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিবেন, তবে গবাদিপশুটি নিরোগ প্রতীয়মান হইলে জবাইয়ের জন্য উপযুক্ত মর্মে প্রত্যয়নপত্র জারি করিবেন।

(৬) কোন গবাদিপশু কোনভাবেই ভবিষ্যতে জবাইয়ের উপযোগী না হইলে উহাকে বাতিল ঘোষণাক্রমে পশুরোগ বিধিমালা, ২০০৮ মোতাবেক নিস্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।

 

১০। জবাই পরবর্তী কারকাস ইত্যাদি, পরীক্ষা (১) জবাই পরবর্তী  কারকাস পরীক্ষার উদ্দেশ্য হইবে জনস্বাস্থ্য, প্রাণিস্বাস্থ্য এবং মানসম্পন্ন মাংস উৎপাদন।

(২) প্রতিটি গবাদিপশুর কারকাস বা অংগ বা উহার অংগের কোন অংশ পৃথকভাবে কাট (Cut) হইয়া থাকিলে প্রতিটি অঙগ বা উহার অংশ  পরীক্ষার উদ্দেশ্যে পৃথকভাবে পরিচ্ছন্ন ( Hygienic) স্থানে  রাখিতে হইবে এবং ভেটেরিনারিয়ান বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা স্থান, যন্ত্রাদি ও সুবিধাদির পরিচ্ছন্নতা এবং প্রতিটি কারকাস পৃথকভাবে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করিবেন।

(৩) উপবিধি (২) মোতাবেক পর্যবেক্ষণ বা পরীক্ষায়  রোগের কোন লক্ষণ বা চিহ্ন (Symptom and Sign) না পাওয়া গেলে “ভক্ষনের জন্য উপযুক্ত” মর্মে উল্লেখিত কারকাসের দর্শনীয় স্থানে সীল প্রদান করিবেন এবং পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ফরম পূরণ ও স্বাক্ষর করিয়া কারখানা কর্তৃপক্ষ বা তাহার উপস্থিত প্রতিনিধিকে প্রদান  করিবেন।

(৪) ভেটেরিনারিয়ান বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তার পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণে যদি প্রতীয়মান হয় যে, জবাইকৃত গবাদিপশুটি জুনোটিক রোগে আক্রান্ত সেই ক্ষেত্রে লিখিতভাবে কারণ উল্লেখ করিয়া উক্ত কারকাস বা উহার  অংগ বা উপাংগ নিরাপদ দূরত্বে এবং পাত্রে প্রাথমিকভাবে সংরক্ষণ করিতে নির্দেশ প্রদান করিবেন এবং তিনি বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ও সংখ্যক নমুনা সংগ্রহ করিবেন  এবং পরীক্ষার জন্য মহাপরিচালক ঘোষিত কোন  পরীক্ষাগারে প্রেরণ করিবেন, তবে বাহ্যিক যাঁচাই এ যদি মাংস খাবার অনুপযুক্ত প্রতীয়মান হয় তবে উক্ত কারকাস এবং তার সংস্পর্শে আসা সকল কারকাস বা মাংস ভক্ষণঅযোগ্য ঘোষণা করিয়া কারখানা কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাইবেন এবং বলবৎ আইন বা বিধিমতে ধ্বংস করিবেন।

(৫)   নাড়িভূড়ি অপসারণের পর  জবাই পরবর্তী কারকাসের  মাংসের রং, আকার, ক্ষত বা ফোলা টিস্যু বা নিঃসৃত কোন রস বা গন্ধ পরীক্ষা করিতে হইবে।

(৬) উপবিধি (৪) মোতাবেক পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হইলে উক্ত জবাইকৃত গবাদিপশুর কারকাস সহ সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ উপযু্ক্ত প্যাকেট বা পাত্রে সীলগালা করিয়া পৃথক ফ্রিজারে সংরক্ষণ করার নির্দেশনা দিবেন।

(৭) এই বিধির অধীন জবাইকৃত গবাদিপশুর কারকাসসহ উহার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ উপবিধি  (৪) এর অধীন নিস্পত্তি করা হইলে গবাদিপশুর মালিক বা কারখানার মালিক কোন ক্ষতিপূরণ দাবি বা দাবির জন্য আদালতে মামলা করিলে তাহা গ্রহণযোগ্য হইবে না।

(৮) পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত গবাদিপশুর মাথা ও নাড়িভূড়ি জবাইখানার বাইরে স্থানান্তর করা যাইবে না এবং কোন নির্দিষ্ট গবাদিপশুর তাহা শনাক্ত করার মত চিহ্ন ব্যবহার করিতে হইবে।

(৯) কোন ব্যক্তি কসাইখানার মধ্যে  ভেটেরিনারিয়ান বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা অনুমতি ছাড়া বা পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন রসযুক্ত মেমব্রেন (Serous Membrane) কারাকাসের কোন অংশ বা রোগাক্রান্ত কোন টিস্যু ধুইয়া, আঁচড়াইয়া, কাটিয়া বা ছাটিয়া অপসারণ, পরিবর্তন বা  অপমোচন করিতে পারিবে না।

(১০) মাথা পরীক্ষার পূর্বে উহার চামড়া ছাড়াইয়া পরিস্কার পানি দ্বারা ধুইতে হইবে এবং জিহ্বা উহার গোড়া হইতে বিচ্ছিন্ন করিতে হইবে যাহাতে মাস্টিকেটোরি মাংসপেশী (Masticatory muscle) এবং লিম্ফ নোড (Lymph node) পরীক্ষা করা যায়।

(১১) উপবিধি (১০) এর আলোকে মাথার পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হইলে নিম্নবর্ণিত উপাঙ্গ পরীক্ষা করিতে হইবে-

(ক) মুখ এবং নাকের ফুটা।

(খ) সাব-ম্যাক্সিলারি গ্রন্থি

(গ) প্যারোটিড গ্রন্থি

(ঘ) রিট্রোফ্যারিঞ্জাল লিম্ফ নোডস

(ঙ) টনসিল।

(১২) কারকাস হইতে নাড়ি-ভূড়ি  আলাদা করিবার পর উহার পরিপাকতন্ত্রের নালি, হৃদপিণ্ড, পিত্তথলী, যকৃত, প্লীহা, ফুসফুস, জরায়ু, ওলান, বৃক্ক এবং অন্ডকোষ পরীক্ষা করিতে পারিবে।

(১৩) মহাপরিচালক জনস্বাস্থ্য ও প্রাণিস্বাস্থ্য বিবেচনা করিয়া পোস্ট মর্টেমকালীন পরীক্ষার জন্য  অন্য যে কোন অংগ বা টিস্যু বা উপাংগ পরীক্ষা করিবার আদেশ জারি করিতে পারিবেন ।

 

১১। জবাইখানার পরিবেশ- (১) নিম্নবর্ণিত স্থানে বা উহার পার্শ্বে কোন গবাদিপশু জবাই বা জবাইখানা স্থাপন করা যাইবে না:

(ক) দৈনন্দিন কাজে পানি ব্যবহার করা হয় এমন জলাশয়ের বা টিউবওয়েলের পাশে;

(খ) পাঠক্রম চলাকালীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বা তৎসংলগ্ন স্থানে,

(গ) কোন শিশু পার্ক বা খেলার মাঠে ;

(ঘ) মহাসড়ক বা মূলসড়কের পাশে;

(ঙ) হাসপাতালের পাশে;

(চ) ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে এমন স্থাপনায় বা তৎসংলগ্ন জায়গা;

(ছ) আবর্জনা স্তূপীকৃত করা হয় এমন স্থানে বা তৎসংলগ্ন স্থানে।

(২) জবাইখানার ভেতরের দেয়াল ও মেঝে এমনভাবে নির্মিত হইবে যাহাতে জবাইখানার দেয়াল ও মেঝে স্যাঁত-স্যাঁতে বা পানি শোষণ করিয়া ভেজা অবস্থায় না থাকে।

(৩) জবাইখানার তরল বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকিতে হইবে।

 

১২। জবাইখানা, মাংস বিক্রয় স্থাপনা এবং কারখানা স্থাপন, ইত্যাদির জন্য লাইসেন্স (১) কোন ব্যক্তি কারখানা স্থাপন করিবার জন্য লাইসেন্সের আবেদন করিবার ক্ষেত্রে নিম্নে বর্ণিত ক্যাটাগরি অনুযায়ী তফসিল-১ এর ফরম-১ এবং মাংস বিক্রয়ের স্থাপনার জন্য ফরম-২ এ আবেদন করিতে পারিবেন:

ক্রঃ নংক্যাটাগরিপ্রতিষ্ঠানের ধরণ (প্রতি সপ্তাহের বিবেচনায় )
জবাইখানা, মাংস বিক্রয় প্রতিষ্ঠান এবং মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা (৫ টনের ঊর্ধ্বে)
বিজবাইখানা, মাংস বিক্রয় প্রতিষ্ঠান এবং মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা (১ টন হইতে ৫ টন পর্যন্ত)
সিজবাইখানা, মাংস বিক্রয় প্রতিষ্ঠান এবং মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা (১ টনের কম)

 

তবে শর্ত থাকে যে,  সশস্ত্র বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, আনসার-ভিডিপি, কোস্ট গার্ড  এবং বিজিবি  কর্তৃক পরিচালিত সংশ্লিষ্ট  বাহিনীর সদস্যগণের মাংস সরবরাহের উদ্দেশ্যে পরিচালিত মাংস বিক্রয় বা মাংস প্রক্রিয়াকরণ কারখানার ক্ষেত্রে ইহা প্রযোজ্য হইবে না।

(২) উপ-বিধি (১) এ বর্ণিত ক্যাটাগরি অনুয়ায়ী লাইসেন্স ফি, নিবন্ধন ফি ও নবায়ন ফি সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্ধারণ বা পুনঃনির্ধারণ করিতে পারিবে।

(৩) স্থানীয় সরকার পরিচালিত বা কোন ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত শুধু জবাইখানা বা মজুতকৃত নয় এইরূপ কাঁচা মাংস বিক্রয়ের ক্ষেত্রে উপবিধি (১) প্রযোজ্য হইবে না। তবে শর্ত এই যে, মহাপরিচালক শুধু জবাইখানা বা মজুতকৃত নয় এইরূপ কাঁচা মাংস বিক্রয়ের কেন্দ্রের জন্য নিরাপদতা সংক্রান্ত নির্দেশাবলী প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করিবেন।

(৪) কোন কারখানা বা মাংস বিক্রয়ের স্থাপনার জন্য পশুরোগ আইন ২০০৫ এবং পশুরোগ বিধিমালা ২০০৮ এর অধীন লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন করিয়া থাকিলে তবে উক্ত রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্সের মেয়াদান্তে এই বিধির অধীন লাইসেন্স গ্রহণ করিতে হইবে।

 

১৩। লাইসেন্স প্রদান পদ্ধতি, ইত্যাদি- (১) বিধি ১২ এ উল্লেখিত ক্যাটাগরি অনুযায়ী  লাইসেন্সের  জন্য আবেদন  সরাসরি হার্ডকপিতে বা  মহাপরিচালক নির্ধারিত ওয়েবলিংকে ই-ফর্মে বা  ই-মেইলে  দাখিল করা যাইবে এবং সংশ্লিষ্ট  কাগজাদি স্ক্যান করিয়া সংযুক্তি হিসাবে প্রদান করা যাইবে।

(২) কারখানা বা মাংস বিক্রয়ের স্থাপনার লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদনকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নিম্ন বর্ণিত  কাগজাদি আবেদনের  সাথে সংযুক্তি হিসাবে দিতে হইবে-

(ক) হালনাগাদকৃত ট্রেড লাইসেন্স বা কোম্পানি আইনে রেজিস্টার্ড হইলে উহার সনদ ।

(খ) হালনাগাদকৃত টিআইএন সনদ।

(গ) হালনাগাদকৃত ভ্যাট সনদ।

(ঘ) ভূমির মালিকানা বা লিজ প্রাপ্তির পক্ষে বৈধ কাগজাদি।

(ঙ) কারখানা বা মাংস বিক্রয়ের স্থাপনার লে-আউটসহ প্লান।

(চ) কারখানার দক্ষ জনবলের বিবরণী  (ন্যূনতম একজন রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ানের পদ থাকিতে হইবে)।

(ছ) পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের কপি।

 

(৩) আবেদন প্রাপ্তির অনধিক ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে  আবেদন নিস্পত্তি করিতে হইবে এবং লাইসেন্স প্রস্তুত হইলে আবেদনকারীকে তাহার নির্দেশিত ই-মেইল বা অন্য যে ভাবে প্রাপ্তির জন্য আবেদনে উল্লেখ করা হইয়াছে, সে পদ্ধতিতে তাহাকে অবহিত করিবেন।

(৪) উপ-বিধি (১) এর অধীন লাইসেন্স প্রদানের বিষয় অনুমোদিত হইলে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে লাইসেন্স বাবদ ফি এর অর্থ জমা প্রদান করিয়া চালানের কপি দাখিলের জন্য তফশিল-২ এর ফরম-৩ এর মাধ্যমে অনুরোধ করিবে এবং আবেদনকারী উল্লেখিত তারিখের মধ্যে জমা প্রদান না করিলে  তাহার আবেদন নিষ্পত্তিকৃত হিসাবে গণ্য হইবে।

(৫) লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ  নির্ধারিত লাইসেন্স ফি জমা প্রদানের  চালান দাখিল হইলে  আবেদনকারীর নামে  তফসিল-২ এর ফরম-১ এ   লাইসেন্স ইস্যু করিবেন।

(৬) লাইসেন্স ইস্যুর পূর্বে জবাইখানা বা কারখানার অবস্থান ও অবস্থা বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা দ্বারা তদন্ত করাইতে পারিবেন এবং  মহাপরিচালক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর ভেটেরিনারি কর্মকর্তা এইরূপ তদন্তের মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিল করিবেন।

(৭) লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আবেদনকারীর আবেদন না মঞ্জুর করা হইলে কারণ উল্লেখপূর্বক  আবেদনকারীকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ৭ (সাত)   কার্যদিবসের মধ্যে তফসিল-৩ এর ফরম-১ দ্বারা  অবহিত করিবে।

১৪। লাইসেন্স নবায়ন ইত্যাদি (১) লাইসেন্স নবায়নের জন্য কোন ব্যক্তি লিখিতভাবে সরাসরি হার্ড কপিতে (তফসিল-১ এর ফরম-১ বা ফরম-২) বা মহাপরিচালক নির্দেশিত ওয়েব লিংকে ই-ফরমে বা ই-মেইলে আবেদন করিবেন।

(২) আবেদনের সাথে বিদ্যমান লাইসেন্স-এর কপি এবং ফি জমাদানের চালানের কপি সংযুক্তি হিসাবে প্রদান করিতে হইবে।

(৩) মহাপরিচালক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবেদন প্রাপ্তির পর প্রয়োজনে সরেজমিন পরিদর্শন এবং আইন বা বিধি অনুযায়ী রক্ষিত রেজিষ্টার যাঁচাই করিতে পারিবেন।

(৪) আবেদন প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে মহাপরিচালক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কোন আপত্তি না থাকিলে মেয়াদ উল্লেখসহ লাইসেন্স নবায়নের বিষয় পৃষ্ঠাংকন করিবেন এবং সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে তাহার নির্দেশিত ই-মেইল বা অন্য যে ভাবে প্রাপ্তির জন্য আবেদনে উল্লেখ করা হইয়াছে, সে পদ্ধতিতে তাহাকে অবহিত করিবেন।

(৫) লাইসেন্স নবায়নের আবেদন অনুমোদিত হইলে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে লাইসেন্স নবায়ন বাবদ ফি এর অর্থ জমা প্রদান করিয়া চালানের কপি দাখিলের জন্য তফশিল-২ এর ফরম-২ এর মাধ্যমে অনুরোধ করিবে এবং আবেদনকারী উল্লেখিত তারিখের মধ্যে জমা প্রদান না করিলে তাহার আবেদন নিস্পত্তিকৃত হিসাবে গণ্য হইবে।

(৬) লাইসেন্স নবায়নের আবেদন না মঞ্জুর হইলে ইস্যুকৃত লাইসেন্স বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং মহাপরিচালক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লাইসেন্স না মঞ্জুরের বিষয়টি অবহিত করিয়া চলমান কারখানা বা বিক্রয় স্থাপনা বন্ধ রাখিবার আদেশ প্রদান করিবেন।

(৭) লাইসেন্স এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হইলে এবং নবায়ন এর জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন না করা হইলে কিংবা নবায়নের আবেদন নামঞ্জুর হইলে উক্ত জবাইখানা পরিচালনা অবৈধ বলিয়া গন্য হইবে তবে মেয়াদ উত্তীর্ণের পরে ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ফি এর দ্বিগুণ অর্থ চালানের মাধ্যমে জমা দিয়ে উপবিধি (১) মোতাবেক আবেদন করিতে পারিবেন।

 

১৫। লাইসেন্স স্থগিত ও বাতিলকরণ, ইত্যাদি- (১) মহাপরিচালক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আইনের ধারা ১১ মোতাবেক লাইসেন্স স্থগিত বা  বাতিল করিতে চাহিলে লাইসেন্স গ্রহীতাকে ১৫ (পনের) কার্য দিবসের মধ্যে কারণ উল্লেখপূর্বক নোটিশ জারী করিবেন।

(২) উপ-বিধি (১) এ উল্লেখিত নোটিশ প্রাপ্তির পর লাইসেন্স গ্রহীতা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কারণ না দর্শাইলে অথবা প্রদত্ত জবাব লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের নিকট সন্তোষজনক প্রতীয়মান না হইলে, লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ উক্ত জবাব প্রাপ্তির বা জবাব প্রদানের জন্য নির্ধারিত সময় অতিক্রমের ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে উক্ত লাইসেন্স গ্রহীতার লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করিতে পারিবেন।

(৩) লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত করা হইলে উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত জবাইখানা, মাংস বিক্রয় প্রতিষ্ঠান এবং মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ পরিচালনা অবৈধ হিসাবে গন্য হইবে এবং আইনের ধারা ২৪ মোতাবেক দন্ডনীয় হইবে।

১৬ প্রশাসনিক আপিল- (১) এই বিধির অধীন কোন আদেশে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আদেশ প্রাপ্তির অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আদেশটি যদি ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার হয় তবে তফসিল-৩ এ বর্ণিত ফরম-২ পূরণকরত: মহাপরিচালকের নিকট এবং আদেশটি যদি মহাপরিচালকের হয় তবে একই ফরমে  সরকারের নিকট লিখিতভাবে আপীল আবেদন করিতে পারিবেন।

(২) ক্ষেত্রমতে মহাপরিচালক বা সরকার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উক্ত আপিল নিষ্পত্তি করিবেন, এইক্ষেত্রে আপিলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

 

১৭। প্রবেশ, পরিদর্শন, ইত্যাদির ক্ষমতা- (১) মহাপরিচালক বা তাঁহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা জবাইখানার মালিককে অবহিত করিয়া বা অবহিত না করিয়া  সাময়িকভাবে পশু রাখিবার স্থান, জবাইখানা, কারখানা বা উহার যে কোন ইউনিটে প্রবেশ করিতে পারিবেন এবং এই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জবাইখানা বা কারখানা কর্তৃপক্ষ ভেটেরিনারি কর্মকর্তার চাহিদা মোতাবেক গবাদিপশু বা গবাদিপশুর মাংসের উৎস ( Root of Origin), গবাদিপশুর চিকিৎসা ও প্রয়োগকৃত ঔষধ, পশুখাদ্য ও গবাদিপশু জবাইয়ে ব্যবহৃত যন্ত্রাদি বা যান্ত্রিকস্থাপনা  ও  প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি, পরিবহন ব্যবস্থা, হিমাগার এবং এতদসংক্রান্ত সকল কাগজাদি  উপস্থাপনা করিতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হইলে উহা উপস্থাপন ও কপি চাহিলে উহা সরবরাহ করিবেন।

(২) পরিদর্শনকালে কোন গবাদিপশু বা পাখিজাতীয় প্রাণী সংক্রামক রোগে রোগাক্রান্ত প্রতীয়মান হইলে  চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ও একই সাথে  রোগের প্রকৃতি মোতাবেক একসাথে থাকা সকল গবাদিপশুর বা পাখিজাতীয় প্রাণীর জন্য চিকিৎসা ও গবাদিপশু রোগ বিধিমালা ২০০৮ মোতাবেক সঙ্গনিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কারখানার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করিবেন এবং  কোন গবাদিপশু বা পাখিজাতীয় প্রাণি কোনভাবেই আগামীতে জবাইয়ের উপযোগী প্রতীয়মান না হইলে উহাকে বাতিল ঘোষণাক্রমে পশুরোগ বিধিমালা, ২০০৮ মোতাবেক নিস্পত্তির জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করিবেন।

(৩) উপ-বিধি (২) অনুসারে কোন গবাদিপশু বা পাখিজাতীয় প্রাণী রোগাক্রান্ত পাওয়া গেলে উহার উৎসস্থলসহ চিকিৎসা ব্যবস্থা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করিবেন এবং মহাপরিচালককে প্রতিবেদন আকারে অবহিত করিবেন।

(৪) জবাইখানা বা কারখানায় বা উহাদের যে কোন ইউনিটে কারকাস বা উহার কোন কাট বা অঙ্গ বা উপাঙ্গ পর্যবেক্ষণকালে রোগাক্রান্ত বা খাদ্য হিসাবে অযোগ্য প্রতীয়মান হইলে উক্ত কারকাস বা উহার কোন কাট বা অঙ্গ বা উপাঙ্গ আটক করিয়া বলবৎ আইন ও বিধি মোতাবেক ধ্বংস করিবেন এবং রোগের কারণ নির্ধারণের জন্য নমুনা সংগ্রহ করিতে ও পরীক্ষাসহ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।

(৫) (ক) পরিদর্শনকালে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা কারখানায় বা উহাদের যে কোন ইউনিটে মাংস কাঁচা বা হিমায়িত বা প্যাকেটকৃত যে অবস্থায় হউক, ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যের উপস্থিতি বা মাত্রার অতিরিক্ত উপস্থিতি যাঁচাই এর জন্য নমুনা সংগ্রহ করিতে পারিবেন এবং পরীক্ষার জন্য প্রযোজ্য পরীক্ষাগারে তফসিল-৪ এর মাধ্যমে প্রেরণ করিতে পারিবেন।

(খ) এইরূপ পরীক্ষায় মাংসে নিষিদ্ধ রাসায়নিক দ্রব্যাদির উপস্থিতি বা ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যের মাত্রার অতিরিক্ত উপস্থিতি পাওয়া গেলে স্থাপনার কর্তৃপক্ষকে মহাপরিচালকের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ও নির্দেশিত পদ্ধতিতে ধ্বংসের জন্য এবং বিপণনের উদ্দেশ্যে মজুদাগারে, পরিবহনে বা প্রদর্শনী বা বিক্রয়ের জন্য যেখানে যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় প্রত্যাহারক্রমে ধ্বংসের জন্য আদেশ প্রদান করিবেন।

(৬) পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা মহাপরিচালক কতৃক প্রণীত ছক মোতাবেক পরিদর্শন প্রতিবেদন প্রদান করিবেন।

 

১৮। জবাইখানা বা কারখানার কর্মী ও মাংস বিক্রেতার স্বাস্থ্য।-  (১) জবাইখানা বা কারখানার কর্মী ও মাংসবিক্রেতা, জবাইকারী এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মীগণ ছোঁয়াচে রোগ বা সংক্রামক রোগমুক্ত কি-না এ সম্পর্কে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপযুক্ত চিকিৎসক হইতে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সনদ লইতে হইবে এবং  প্রতিবছরের জন্য এইরূপ  সনদ সংগ্রহপূর্বক সংরক্ষণ করিতে হইবে।

(২) জবাইখানা বা কারখানার কর্মীরা মহাপরিচালক কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি মানিয়া চলিবেন।

 

১৯। গবাদিপশু, মাংস ও মাংসজাত পণ্য পরিবহণ।- (১) গবাদিপশু, মাংস ও মাংসজাত পণ্য পরিবহনের জন্য যানবাহন হইতে যানে উঠাইবার পূর্বে এবং অবতরণের পরে যানবহনটি পরিচ্ছন্ন এবং মহাপরিচালক নির্দেশিত জীবাণুনাশক দ্বারা জীবাণুমুক্ত  করিতে হইবে;

(২) দূরত্ব এবং রাস্তা বিবেচনায় গবাদিপশুকে হাঁটাইয়া বা সড়কপথে মটরগাড়ি বা রেলপথে ওয়াগনে বা নৌযানে বা  এয়ারক্রাফ্টে প্রাণিকল্যাণ এবং ক্লেশ ‍বিবেচনা করিয়া পরিবহন করিতে হইবে এবং পরিবহনে উঠানো বা নামানোকালে গবাদিপশু যেন কোনভাবে পীড়ন (Stress), আঁচড়লাগা (Bruises), পদদলন (trampling), দমবন্ধ হওয়া (Suffocation), হৃদযন্ত্র বন্ধ হওয়া (Heart failure), খরতাপ জনিত অবসান (Heat stroke), রোদে পুড়ে যাওয়া (Sun burn), পেট ফুলা (Bloat), বিষক্রিয়া (Poising), শিকারির আঘাত (Predation), পানিশূণ্যতা (Dehydration), আঘাত (injuries) এবং পরস্পরের লড়াই (Fighting) অবস্থায় পতিত না হয়।

(৩) একই পরিবহনে একইসাথে ভিন্ন ভিন্ন গবাদিপশু পরিবহন করা যাইবে না।

(৪) পশু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত যানবাহনের মেঝে সমতল ও অমসৃণ হইতে হইবে এবং এইরূপ বড় কোন ফুটা থাকিবে না যাহাতে পশুর পা ঢুকিয়া পড়ে  এবং পরিবহনযানে পশুভিত্তিক জায়গার  পরিমান নিম্নরূপ হইবেঃ-

পশুর জাতপ্রতি প্রাণির জন্য স্থান (বর্গমিটার))
বড় আকারের গরু বা মহিষ২.০-২.৫
ছোট আকারের গরু বা মহিষ১.২-১.৫
উট২.৫-৩.০
ছাগল/ভেড়া/দুম্বা০.৪-০.৫
শুকর০.৫-০.৮

 

(৫) যানবাহনে গবাদিপশু উঠানো বা নামানোর ক্ষেত্রে প্লাটফর্ম ব্যবহার করিতে হইবে।

(৬) দূরত্ব বিবেচনায় যানবাহনে উঠাইবার পূর্বে গবাদিপশুকে পর্যাপ্ত পরিমানে পানি এবং খাদ্য খাওয়াইতে হইবে।

(৭) যানবাহনে জরুরী গবাদিপশু অবতরণের জন্য বহনযোগ্য র‌্যাম্প থাকিতে হইবে।

(৮) পরিবহনকালে কোথাও কোন গবাদিপশু অসুস্থ হইলে বা কোন কারণে আঘাত প্রাপ্ত হইলে তাৎক্ষণিকভাবে বা দ্রুতসময়ের মধ্যে স্থানীয় ভেটেরিনারি অফিসারের সাথে যোগাযোগপূর্বক চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং উক্ত ভেটেরিনারি কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপযুক্ত মনে করিবেন সে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আদেশ প্রদান করিবেন।

(৯) কোন গবাদিপশুকে কি পরিমান দূরত্ব হাঁটাইয়া লইয়া যাইবেন বা যানবাহনে কি পরিমান সময় একাধারে দাঁড়াইয়া রাখিবেন সে বিষয়ে মহাপরিচালক প্রজ্ঞাপন জারি করিতে পারিবেন।

(১০) মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণে সরঞ্জাম, কারখানার কার্যক্রম পরিচালনা, কর্মীদের স্বাস্থ্য বিধি, মাংস মোড়ানো প্যাকেট করা, গুদামজাত পরিবহন, মাংস হ্যান্ডলিং ও প্যাকিং কক্ষের সুবিধাদি, ঠান্ডাকরণ যন্ত্র, তাজা মাংস রাখার জায়গা, হাড় ছড়ানো, স্লাইস করা, ফ্রিজার চর্বি ছড়ানো পরিবহন ইত্যাদি বিষয়ে গশু রোগ আইন ২০০৫ এর অধীন প্রণীত পশু রোগ বিধিমালা ২০০৮ এর তফসিল –৭(ছ) এবং তফসিল -৭(জ) এর বিধান প্রযোজ্য হইবে।

(১১) মাংস পরিবহনকালে গন্তব্যে পৌছাইবার পূর্বে কোথাও যাত্রাবিরতি কালে ভ্যানের কুলিং অংশ খোলা যাইবে না যাহাতে বাহিরের বাতাস ভিতরে প্রবেশ করিতে পারে, যাত্রাবিরতি কাল ২৪ ঘন্টার বেশি হইলে বা কুলিং সিস্টেম অকার্যকর হইলে চালক তাহা তাৎক্ষণিকভাবে জবাইখানার মালিক বা কারখানার মালিককে অবহিত করিবেন।

(১২) এই বিধি বা পশু রোগ বিধিমালা ২০০৮ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মহাপরিচালক মাংস এর সংরক্ষণ, প্যাকিং বা পরিবহন বিষয়ে CODEX Elimentarius বা HACCP এর নির্দেশাবলী বা মান (Standard) ব্যবহার করার বা সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নুতন নির্দেশাবলী বা মান প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করিতে পারিবেন।

 

২০। জরুরী জবাই- (১) সাময়িকভাবে পশু রাখিবার স্থান বা  পরিবহনকালে  দুর্ঘটনাজনিত কারণে কোন পশু এমনভাবে আহত বা এমন অসংক্রামক  রোগে আক্রান্ত যাহা চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করা বা পশুকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো সম্ভব নহে সেই ক্ষেত্রে ভেটেরিনারি কর্মকর্তা গবাদিপশু জবাই করিবার জন্য অতিরিক্ত ক্লেশহীন পদ্ধতি উল্লেখ করিয়া জবাই করিবার অনুমতি প্রদান করিবেন।

(২) উপবিধি (১) অনুযায়ী ব্যবস্থা লওয়া সম্ভব না হইলে ভেটেরিনারি কর্মকর্তার লিখিত পরামর্শ অনুসারে ক্লেশহীন মৃত্যু (Euthensia) ঘটানো যাইবে এবং এইরূপ মৃত গবাদিপশুর মাংস খাওয়ার উপযুক্ত নহে মর্মে গণ্য হইবে এবং মৃত গবাদিপশুকে মাটিতে পুতিয়া দিতে হইবে।

২১। ভক্ষণ অযোগ্য ঘোষণা।– (১) মাংস নিম্নবর্ণিত উপায়ে ভক্ষণ অযোগ্য কি না তাহা যাচাই করা যাইবে-

(ক) ভৌত অবস্থা পর্যবেক্ষণ যথা, মাংসের রং, গন্ধ, মাংসের গঠন,  অন্য কোন বহিঃদ্রব্যাদির উপস্থিতি ইত্যাদি।

(খ) পরীক্ষাগারে পরীক্ষা- যথা, ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যাদি বা সংক্রামক রোগের জীবাণূর উপস্থিতি বা পরিমান নির্ণয়।

(গ) আইনের ২১ ধারা এবং বিধি ২৪ এর  অধীন মহাপরিচালক কর্তৃক জারিকৃত বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত ভৌত বিপত্তি (Physical hazards ), রাসায়নিক বিপত্তি  ( Chemical hazards ) এবং জৈব বিপত্তি ( (Biological hazards) এর উপস্থিতি বা মাত্রার সাথে মাংসে পরীক্ষায় প্রাপ্ত মাত্রার তুলনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

(২) বিধি ২৪ এর আলোকে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ ও নিস্পন্ন করিতে হইবে।

(৩) ভক্ষণ অযোগ্য মাংস অপসারণ বা প্রত্যাহার বা ধ্বংসের জন্য স্থাপনার মালিক কোনরূপ ক্ষতিপূরণ দাবী করিতে পারিবেন না।

 

২২। ভক্ষণঅযোগ্য ঘোষিত কারকাস বা আংশিক কারকাস বা মাংস বা অফাল অপসারণ বা ধ্বংসের নির্দেশ- (১) ভেটেরিনারি কর্মকর্তা বা ভেটেরিনারিয়ান ভক্ষণঅযোগ্য ঘোষিত কারকাস বা আংশিক কারকাস বা মাংস বা অফাল মানুষের খাদ্য উপকরণ হিসাবে বা  অন্যভাবেও ব্যবহারের উপযুক্ত না হইলে –

(ক) যে ব্যক্তি স্থাপনার মালিক বা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তাহাকে নোটিশ প্রদান করিয়া ভক্ষণ অযোগ্য মাংস বা উহার অংশ  যেখানে অর্থাৎ কারখানায় প্রক্রিয়াকরণ চ্যানেলে বা ফ্রিজারে বা বিক্রয়স্থানে বা পরিবহনে থাকিলে প্রত্যাহারের জন্য মহাপরিচালক নির্দেশিত পদ্ধতি এবং স্থানে  স্তূপীকৃতকরণ এবং ধ্বংস করিবার জন্য  অবহিত করিবেন এবং উক্ত ব্যক্তি এই  বিষয়ে  মহাপরিচালকের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।

(২) ভক্ষণ ব্যতীত অন্য কোন কাজে ব্যবহারের উপযুক্ত বলিয়া ভেটেরিনারি কর্মকর্তা বা ভেটেরিনারিয়ানের নিকট প্রতীয়মান হইলে তিনি উক্ত ভক্ষণ অযোগ্য ঘোষিত কারকাস বা আংশিক কারকাস বা মাংস বা অফাল কি কাজে ব্যবহারের উপযোগী তাহা লিখিত ভাবে কারখানার বা বিক্রয় স্থাপনার কর্তৃপক্ষ বা প্রতিনিধিকে অবহিত করিবেন এবং  নিশ্ছিদ্র প্যাকিং এর ব্যবস্থা করিয়া বন্ধ অবস্থাতে কারখানা বা বিক্রয় স্থাপনার বাহিরে দ্রুত স্থানান্তরের আদেশ প্রদান করিবেন।

(৩) ভক্ষণ অযোগ্য ঘোষিত কারকাস বা আংশিক কারকাস বা মাংস বা অফাল অপসারণের পর কারখানা বা বিক্রয় স্থাপনার সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহ  ডিটারজেন্ট ও জীবানুনাশক দিয়া পরিষ্কারকরণ করিতে হইবে।

 

২৩। ল্যাবরেটরীতে নমুনা প্রেরণের নির্দেশ প্রদান।- (১) পরিদর্শনকালে আইনের ধারা ২১ মোতাবেক  ভেটেরিনারি কর্মকর্তা বা ভেটেরিনারিয়ান  স্থাপনার মালিক বা তাঁহার  প্রতিনিধির উপস্থিতিতে  একই কারণে অনধিক তিনটি নমুনা সংগ্রহ করিবেন এবং যে কারকাস বা উহার কোন অংগ বা উপাংগ হইতে নমুনা সংগ্রহ করা হইয়াছে তাহা আটক করিয়া  জীবাণুমুক্ত, বায়ু ও পানি রোধক পাত্রে সংরক্ষণপূর্বক পৃথক স্থানে হিমায়িতকরণ করিয়া সংরক্ষণ করিতে হইবে।

(২) নমুনা জীবাণূমুক্ত, বায়ু ও পানিরোধক পাত্রে সংগ্রহক্রমে পশুর নাম, পশুর শরীর বা কারাকাসের বা বর্জ্যের যে অংশ হইতে সংগৃহীত তাহার নাম, পরিমান (গ্রাম), সংগ্রহের তারিখ, স্থাপনার নাম বা নামের কোড উল্লেখ করিয়া স্বাক্ষীদের স্বাক্ষর গ্রহণ করিবেন এবং নিজে স্বাক্ষর করিবেন।

(৩)  উপবিধি (২) মোতাবেক সংগৃহীত  নমুনা জীবাণুমুক্ত পদ্ধতিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন  ল্যাবরেটরি যথা: কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবরেটরি, সাভার, ঢাকা বা ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ বা মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবরেটরি বা কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগার (সিডিআইএল) বা আঞ্চলিক রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগার  (এফডিআইএল) বা অনুরূপ কাজের জন্য সরকার নির্ধারিত অন্য কোন ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করাইতে বা করাইবার জন্য প্রেরণ করিবেন এবং মহাপরিচালককে অবহিত করিবেন।

(২) সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরি  পরীক্ষান্তে প্রাপ্ত রির্পোট  নমুনা প্রেরণকারীকে যত দ্রুত সম্ভব অবহিতকরণের ব্যবস্থা করিবেন।

(৩) প্রয়োজনে অধিকতর পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ সংগৃহীত বা প্রাপ্ত নমুনা রেফারেন্স ল্যাবরেটরিতে প্রেরণের ব্যবস্থা করিবেন।

(৪) এছাড়াও আরো অধিকতর প্রয়োজনে অধিদপ্তরের চিফ ভেটেরিনারি কর্মকর্তা, বাংলাদেশ এর অনুমোদনক্রমে ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ সংগৃহীত বা প্রাপ্ত নমুনা উপযুক্ত প্যাকিং এবং জীবাণুমুক্ত পদ্ধতিতে বিদেশের কোন এক্রিডেটেড ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার ব্যবস্থা ও তাহার প্রতিবেদন সংগ্রহের ব্যবস্থা করিতে পারিবেন।

(৫) এইরূপ নমুনা পরিবহন বা প্যাকিং এবং পরীক্ষা বাবদ যাবতীয় ব্যয় সংশ্লিষ্ট স্থাপনা কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে আদায়যোগ্য হইবে ।

(৬) প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর ফলাফলের উপর ভিত্তি করিয়া উপধারা (১) আটক ও শিতলীকরণকৃত কারকাস বা উহার অংগ বা উপাংগ ভক্ষণযোগ্য মর্মে ছাড় করিবেন বা অন্যরূপ হইলে পশু রোগ আইন, ২০০৫ বা এই আইনের বিধানের আলোকে বা ইনসিনেটরে পুড়াইয়া ধ্বংস করিবেন এবং মহাপরিচালককে অবহিত করিবেন।

২৪। লেবেল সংযুক্তি ।- (১) বাংলাদেশে উৎপাদিত ও প্রক্রিয়াকৃত মাংসের প্যাকেটে বা পাত্রে অমোচনীয় কালী দ্বারা মুদ্রিত কাগজে নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি উল্লেখ থাকিতে হইবেঃ-

(ক) উৎস পশুর সাধারণ নাম।

(খ) মেরিনেটেড বা নন-মেরিনিনেটেড ।

(গ) মাংসের কাটের নাম ।

(ঘ) জবাইয়ের তারিখ।

(ঙ) প্যাকিং করিবার তারিখ।

(চ) উত্তম ভোগের শেষ তারিখ।

(ছ) সংরক্ষণের তাপমাত্রা।

(জ) হালাল এর সীলমোহর।

(ঝ) নীট ওজন (কিলোগ্রাম)।

(ঞ) লাইসেন্স নম্বর।

(ট) উৎপাদনকারী বা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের নামসহ ঠিকানা।

(২) আমদানিকৃত মাংসের ক্ষেত্রে যে দেশ হইতে আমদানি করা হইয়াছে তাহার নাম এবং আইনের ধারা ২১ মোতাবেক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ভৌত গুণাগুণসম্পন্ন, ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যাদি ও নিষিদ্ধ জীব অনুজীবীয় বা ক্ষতিকর রশ্মি এর নির্ধারিত মাত্রা এর অতিরিক্ত নাই মর্মে ঘোষণা।

২৫। মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ।– (১) কারখানায় উৎপাদিত মাংস ও ব্যবহৃত প্যাকেট বা যন্ত্রের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য সংশ্লিষ্ট কারখানায় ল্যাবরেটরি থাকিতে হইবে।

(২) কারখানায় জবাই থেকে শুরু করে পাক্যেজিং পর্যন্ত সকল স্তরে ট্যাগিং লাগানোর ব্যবস্থা থাকিতে হইবে এবং উক্ত ট্যাগে ব্যাচ নম্বর, জবাইয়ের তারিখ ও পশুর ধরণ উল্লেখ থাকিতে হইবে।

(৩) উৎপাদন ও বিপনন পর্যায়ে কারকাস বা প্রক্রিয়াজাত মাংসে কোন ধরণের ক্ষতিকর জীবাণু বা কেমিক্যাল এর উপস্থিতি নিশ্চিত হইলে উৎস সনাক্ত (trace back) করিয়া তাহার প্রতিকার বা প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।

(৪) মহাপরিচালক আইনের ২১ ধারার উপধারা (ক), (খ), (গ), (ঘ), এবং (ঙ) তে বর্ণিত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দেশের বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, খামারি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতামত গ্রহণ করিয়া উপযুক্ত শর্ত বা মান নির্ধারণপূর্বক সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে বিজ্ঞপ্তি জারি করিবেন এবং এইরূপ বিজ্ঞপ্তি বিধিমালা জারি হইবার অনধিক ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে জারি করিবেন।

(৫) উপবিধি (৪) এর শর্ত বা মান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে  দেশে বলবৎ অন্য কোন আইন বা বিধি বা প্রবিধানমালায় মাংসের মান বিষয়ে কোন  শর্ত বা পরিমাপন থাকিলে তাহার সহিত সমন্বয় করিয়া নির্ধারণ করিবেন।

(৬) মাংস রপ্তানির ক্ষেত্রে আমদানিকারী দেশের চাহিদা মোতাবেক মান ও শর্ত নির্ধারণ করিয়া সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে মহাপরিচালক বিজ্ঞপ্তি জারি করিবেন।

(৭) মহাপরিচালক জবাইখানা বা কারখানা বা বিক্রয় স্থাপনার কর্মীদের মান নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করিতে পারিবেন বা প্রশিক্ষণের মডিউল প্রস্তুতপূর্বক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উক্ত মডিউল অনুসারে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ করিবার অনুরোধ করিতে পারিবেন।

তফসিল-১

[বিধি-১২ (১) ও ১৪ দ্রষ্টব্য]

ফরম- ১

আবেদন কারীর সাম্প্রতিক (সত্যায়িত) ছবি

বরাবর

মহা-পরিচালক/ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর,

বাংলাদেশ, ঢাকা।

 

 

বিষয়ঃ- পশুর জবাইখানা / কারখানা (ক্যাটাগরি /বি/সি) হিসাবে লাইসেন্স প্রাপ্তি/নবায়নের জন্য আবেদন প্রসঙ্গে।

 

১।     (ক) স্বত্ত্বাধিকারীর নাম                 :

(খ) জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (কপি সংযুক্তসহ)    :

(গ) যোগাযোগের ঠিকানা       (মোবাইল নম্বর ও ইমেইলসহ):

 

২।     (ক) প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা (নিজস্ব ওয়েবসাইটসহ) :

(খ) কারখানার ঠিকানা (দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির মোবাইল নম্বর ও ইমেইলসহ)  :

 

 

৩। কারখানা যে গবাদিপশু/পাখিজাতীয় প্রাণী জবাই/প্রক্রিয়াকরণ/মাংস ব্রিক্রয়ের জন্য স্থাপন করা হইতেছে  তাহাদের নাম :

 

৪। (ক) জবাইখানায় প্রতিদিন গড়ে গবাদিপশু/পাখিজাতীয় প্রাণী জবাই করা হইবে তাহার নামসহ সংখ্যা  :

(খ) কারখানায় প্রতিদিন গড়ে যে পরিমান মাংস উৎপাদিত হইবে (গবাদিপশু/পাখিজাতীয় প্রাণীর নামসহ পরিমান (মে: টনে)  :

 

৫। জবাইখানার অবকাঠামোগত সুবিধার (ভবন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পানি, বিদ্যূৎ, গ্যাস, পয়:নিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার) সংক্ষিপ্ত বিবরণী (লেআউট প্লান সংযুক্ত করিয়া দেখাইতে হইবে) :

 

৬। যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদির বিবরণী :

(ক) জবাইখানা –(১) গবাদিপশু শোয়ানো

(২) জবাইকরণ

(৩) চামড়া ছিলানো/পালক ছাড়ানো

(৪) কারাকাস পৃথকীকরণ

(খ)  কারাকাস ধৌতকরণ

(গ)  মাংস কাটকরণ

(ঘ) প্যাকিং

(ঙ) লেবেলিং

(চ) অন্তঃকারাখানায় পরিবহন

(ছ) জৈবিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা:

 

৭।   জনবলের তথ্যাদি (বিস্তারিত)             :

(ক)  ভেটেরিনারিয়ানের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর (রেজিস্ট্রেশন সনদসহ)

(খ)  জবাইকারীদের নাম (স্বাস্থ্য সনদসহ):

 

৮।  ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেসন নম্বর (সনদসহ) :

 

৯।  ট্রেড লাইসেন্স/  স্টক কোম্পানি রেজিস্ট্রেসন নম্বর ( হালনাগাদকৃত সনদের কপিসহ) :

 

১০। পরিবেশ ছাড়পত্র ইস্যুর তারিখ ( ছাড়পত্রে কপিসহ):

 

১১।  প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রদত্ত লাইসেন্স নম্বর (শুধুমাত্র লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে, লাইসেন্সের কপিসহ)    :

১২। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংক্ষিপ্ত বিবরণী

 

১৩। (ক) গবাদিপশু/পাখিজাতীয় প্রাণী প্রাপ্তির উৎস (খামার হইলে উহার হালনাগাদকৃত রেজিস্ট্রেসন সনদসহ):

(খ) আমদানিকৃত গবাদিপশু/পাখিজাতীয় প্রাণী হইলে উৎস খামার যে এলাকার সেই এলাকাসহ দেশের নাম)

১৪। রাসায়নিক ও অনুজীবীয় পরীক্ষার সুবিধা (ল্যাবরেটরি) আছে কিনা:

 

আমি এই মর্মে ঘোষণা করিতেছি যে, উপরে বর্ণিত সমূদয় তথ্যাদি সঠিক, আমি আরও ঘোষণা করিতেছি যে, পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১১ এবং পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা-২০২১ এ বর্ণিত এতদসংক্রান্ত নিরাপদতা ও নিরাপত্তার জন্য মাংসের মান বিষয়ে মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নির্দেশনাসহ সকল বিধি-বিধান যথাযথভাবে পালন করিতে বাধ্য থাকিব।

 

 

স্বত্বাধিকারীর স্বাক্ষর

তারিখ-

 

(সীল মোহর)

 

[বিধি-১২ (১) ও ১৪ দ্রষ্টব্য]

ফরম-২

আবেদন কারীর সাম্প্রতিক (সত্যায়িত) ছবি

বরাবর

মহাপরিচালক/ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর,

বাংলাদেশ, ঢাকা।

 

 

বিষয়ঃ-  গবাদিপশু / পাখিজাতীয় প্রাণীর মাংস বিক্রয়ের জন্য স্থাপনার লাইসেন্স প্রাপ্তি বা নবায়নের  জন্য আবেদন প্রসঙ্গে।

 

১।      (ক) স্বত্ত্বাধিকারীর নাম                        :

(খ) জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (কপি সংযুক্তসহ)    :

(গ) যোগাযোগের ঠিকানা  (মোবাইল নম্বর ও ইমেইলসহ):

 

২।      (ক) প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা (নিজস্ব ওয়েবসাইটসহ)      :

(খ) কারখানার ঠিকানা (দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির মোবাইল নম্বর ও ইমেইলসহ)  :

 

৩। বিক্রয় স্থাপনায় যে গবাদিপশু/পাখিজাতীয় প্রাণীর মাংস বিক্রয় করা হইবে উহাদের নাম :

 

৪। (ক) দোকানে প্রতিদিন গড়ে যে পরিমান মাংস বিক্রয় করা হইবে (গবাদিপশু/পাখিজাতীয় প্রাণীর নামসহ পরিমান (মে:টনে)  :

 

৫। বিক্রয় স্থাপনায় অবকাঠামোগত সুবিধার (ভবন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পানি, বিদ্যূৎ, হিমায়িতকরণের ব্যবস্থাপনা) সংক্ষিপ্ত বিবরণী:

 

৬। যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদির বিবরণী :

(ক) মাংস কাটকরণ

(খ) প্যাকিং

(গ) লেবেলিং

(ঘ) কারখানা হইতে দোকানে মাংস পরিবহনের জন্য চিলিং ভ্যান

(ঙ) জৈবিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা:

(চ) কাঁচামাংস মজুদকরণ (ক্ষমতাসহ)

৭।      জনবলের তথ্যাদি (বিস্তারিত) :

৮।      ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (সনদসহ) :

৯।      ট্রেড লাইসেন্স/  স্টক কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন নম্বর ( হালনাগাদকৃত সনদের কপিসহ) :

১১।     প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রদত্ত লাইসেন্স নম্বর (শুধুমাত্র লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে, লাইসেন্সের কপিসহ)         :

১২।    সম্ভাব্য বর্জ্য ও উহার ব্যবস্থাপনার সংক্ষিপ্ত বিবরণী

১৩।    (ক) গবাদিপশু/পাখিজাতীয় প্রাণীর কাঁচা মাংস প্রাপ্তির উৎস কারখানা বা জবাইখানার নাম:

(খ) আমদানিকৃত মাংস হইলে উৎস দেশের নাম ও ভেটেরিনারি সনদ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নাম :

 

আমি এই মর্মে ঘোষণা করিতেছি যে, উপরে বর্ণিত সমুদয় তথ্যাদি সঠিক, আমি আরও ঘোষণা করিতেছি যে, পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১১ এবং পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা-২০২১ এ বর্ণিত এতদসংক্রান্ত নিরাপদতা ও নিরাপত্তার জন্য মাংসের মান বিষয়ে মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নির্দেশনাসহ সকল বিধি-বিধান যথাযথভাবে পালন করিতে বাধ্য থাকিব।

 

স্বত্বাধিকারীর স্বাক্ষর

তারিখ-

(সীল মোহর)

 

তফসিল-২

ফরম- ১

[বিধি ১৩(৫) দ্রষ্টব্য]

{অফিসের অংশ}

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর

 

নিবন্ধন নং – –.—-.——- *                                    তারিখ:

০১। লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা (ওয়েবসাইট, ইমেইলসহ)

 

 

মহাপরিচালকের পক্ষে-

 

 

তারিখ

 

 

{লাইসেন্সধারীর অংশ}

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর

 

নিবন্ধন নং – –.—-.——- *                                    তারিখ:

জবাইখানা ও মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপনকারী প্রতিষ্ঠান এর লাইসেন্স।

লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা (ওয়েবসাইট, ইমেইলসহ)

 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক এই লাইসেন্স বাতিল করা না হইলে লাইসেন্সের মেয়াদ ৩০ জুন————————- পর্যন্ত বহাল থাকিবে।

 

 

মহাপরিচালকের পক্ষে

স্বাক্ষর

তারিখ-

(সীল মোহর)

(*প্রথম দুই অংক রেজিস্টার নম্বর.দ্বিতীয় ৪ অংক বছর.তৃতীয় ৫ অংক রেজিস্ট্রেশন নম্বর )

শর্তাবলী:

০১। এই লাইসেন্স নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করিতে হইবে।

০২। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বা সরকারি কোন পরিদর্শক উপস্থাপনের অনুরোধ করিলে  মূল সনদ যে অবস্থায় আছে ঐ অবস্থায় উপস্থাপন করিতে হইবে।

০৩। এই লাইসেন্স মেয়াদান্তে নবায়নযোগ্য হইবে।

০৪। মেয়াদান্তে নবায়ন করা না হইলে মেয়াদ শেষের পরের তারিখ হইতে ইহার অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা অবৈধ হইবে।

০৫। এই লাইসেন্স হস্তান্তরযোগ্য নহে।

০৬। লাইসেন্সধারী পশুজবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১১ ও পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২১ এবং প্রযোজ্য বলবৎ যে কোন আইন বা বিধির বিধান বা সরকার বা মহাপরিচালকের যে কোন আইনানুগ নির্দেশনা মানিয়া চলিবেন।

ফরম- ২

[বিধি ১৩(৫) দ্রষ্টব্য]

{অফিসের অংশ}

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর

নিবন্ধন নং – –.—-.——- *                                    তারিখ:

 

০১। লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা (ওয়েবসাইট, ইমেইলসহ)

 

 

মহাপরিচালকের পক্ষে-

 

তারিখ

 

 

 

{লাইসেন্সধারীর অংশ}

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর

 

নিবন্ধন নং – –.—-.——- *                                    তারিখ:

মাংস বিক্রয় স্থাপনা এর লাইসেন্স।

লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা (ওয়েবসাইট, ইমেইলসহ)

 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক এই লাইসেন্স বাতিল করা না হইলে লাইসেন্সের মেয়াদ ৩০ জুন————————- পর্যন্ত বহাল থাকিবে।

 

মহাপরিচালকের পক্ষে

স্বাক্ষর

তারিখ-

(সীল মোহর)

(*প্রথম দুই অংক রেজিস্টার নম্বর.দ্বিতীয় ৪ অংক বছর.তৃতীয় ৫ অংক রেজিস্ট্রেশন নম্বর )

শর্তাবলী:

০১। এই লাইসেন্স নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করিতে হইবে।

০২। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বা সরকারি কোন পরিদর্শক উপস্থাপনের অনুরোধ করিলে তাহা মূল সনদ যে অবস্থায় আছে ঐ অবস্থায় উপস্থাপন করিতে হইবে।

০৩। এই লাইসেন্স মেয়াদান্তে নবায়নযোগ্য হইবে।

০৪। মেয়াদান্তে নবায়ন করা না হইলে মেয়াদ শেষের পরের তারিখ হইতে ইহার অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা অবৈধ হইবে।

০৫। এই লাইসেন্স হস্তান্তরযোগ্য নহে।

০৬। লাইসেন্সধারী পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১ ও পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২১ এবং প্রযোজ্য বলবৎ যে কোন আইন বা বিধির বিধান বা সরকার বা মহাপরিচালকের যে কোন আইনানুগ নির্দেশনা মানিয়া চলিবেন।

 

ফরম- ৩

[বিধি ১৩(৪) দ্রষ্টব্য]

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর

————————-

নং-                                                                              তারিখ-

প্রাপক

———————

———————-

 

বিষয়ঃ- লাইসেন্স  ফি জমা প্রদান প্রসঙ্গে।

পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১ ও পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২১ এর আওতায় আপনার/আপনার প্রতিষ্ঠানের  নামে জবাইখানা বা কারখানা স্থাপনকারী বা মাংস বিক্রয়কারী  হিসাবে লাইসেন্সে প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হইয়াছে। আগামী   ———————————-  তারিখের মধ্যে লাইসেন্স ফি বাবদ —————- টাকা জমা প্রদান করে চালানের  একটি কপি নিম্নস্বাক্ষরকারীর নিকট পত্র প্রাপ্তির ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে জমা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।

 

মহা-পরিচালকের পক্ষে

স্বাক্ষর

তারিখ

(সীল মোহর)

 

তফসিল – ৩

ফরম- ১

[বিধি ১৩(৭) দ্রষ্টব্য]

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর

————————-

 

স্মারক নং-                                                                      তারিখঃ-

 

 

প্রাপক

—————-

—————–

 

বিষয়ঃ- লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদন না মঞ্জুর প্রসঙ্গে।

 

১।     আবেদনকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা              :

 

২।     আবেদনের তারিখ-                                   :

 

৩।     আবেদনকৃত লাইসেন্সের বিষয়-                          :

 

৪।     লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদন না মঞ্জুর হওয়ার কারণসমূহ        :

 

 

 

 

মহা-পরিচালকের পক্ষে

স্বাক্ষর

(সীল মোহর)

তারিখ-

 

 

ফরম- ২

[বিধি-১৬(১) দ্রষ্টব্য]

আপীল আদেশের আবেদনপত্র

 

প্রাপক

মহাপরিচালক

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর,

বাংলাদেশ, ঢাকা।

 

বিষয়ঃ- লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের———– ইং তারিখের লাইসেন্স স্থগিত/বাতিলকরণ আদেশের বিরুদ্ধে আপীল দায়ের প্রসঙ্গে।

 

১।     স্বত্বাধিকারীর নাম                      :

২।        জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর                       :

৩।     ঠিকানা                                   :

৪।     লাইসেন্স স্থগিত/ বাতিলকরণ এর কারণ এবং স্থগিত/ বাতিলকরণের যুক্তির পক্ষে সংযুক্ত কাগজাদির তালিকা                                           :

 

 

উপরে বর্ণিত সমূদয় তথ্যাদি  ও শুনানীতে আমার বক্তব্য বিবেচনা করিয়া  আমার আপিল মঞ্জুর ও  লাইসেন্স স্থগিত/ বাতিলকরণ এর আদেশ বাতিলের  অনুরোধ  করিতেছি।

 

স্বত্বাধিকারীর স্বাক্ষর

 

তারিখ-

(সীল মোহর)

 

 

 

তফসিল-৪

ফরম-১

[বিধি ২৩ দ্রষ্টব্য]

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

স্মারক নং:                                                                         তারিখ:

প্রাপক,

………………………..,

……………………….., ………………..।

 

বিষয়: পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের জন্য নমুনা প্রেরণ।

উপর্যূক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে ‘পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২১’  এর বিধি ২৩ অনুযায়ী সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষণ ও বিশ্লেষণের জন্য এই সাথে প্রেরণ করা হইল। নমুনা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি নিম্নরূপ:

১। নমুনা সংগ্রহের তারিখ ও সময়:
২। নমুনার নাম ও কোড :

৩। নমুনার সংখ্যা ও পরিমাণ:

৪। নমুনা সংগ্রহের কারণ:

৫। নমুনার বিশেষ বৈশিষ্ট্য:

৬। পরীক্ষার অভিপ্রায়/বিষয়:

৭। নমুনা প্রেরণের তারিখ ও সময়:
৮। অন্যান্য তথ্য :

 

উল্লেখিত  নমুনা পরীক্ষা ও বিশ্লেষনান্তে প্রাপ্ত ফলাফল নিম্নস্বাক্ষরকারীকে অনতিবিলম্বে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হইল।

 

 

 

নমুনা প্রেরণকারীর স্বাক্ষর ও নামসহ সীল

মোবাইল নম্বর

 

তফসিল-৫

 

পশুর সংক্রামক রোগসমূহ

 

(ক) Zoonotic diseases of Cattle, Buffalo, Sheep & Goat:

  1. Anthrax
  2. Rabies
  3. Brucellosis
  4. Salmonellosis
  5. coli O157:H7 infections
  6. Dermatophilosis
  7. Leptospirosis
  8. Pseudocowpox
  9. Vesicular Stomatitis
  10. Streptococcal sepsis
  11. Bovine tuberculosis
  12. Campylobacterinfection
  13. Cryptosporidiosis
  14. Bovine Spongiform Encephalitis (BSE)
  15. Cysticercosis
  16. Encephalitis
  17. Enzootic abortion
  18. Giardiasis
  19. Hydatid disease
  20. Listeria infection
  21. Pasteurellosis
  22. Rinderpest
  23. Q fever
  24. Ringworm
  25. Toxocariasis
  26. Toxoplasmosis
  27. Tularemia
  28. West Nile virus
  29. Zoonotic diphtheria

(খ) Zoonotic diseases of Poultry:

  1. Avian Influenza
  2. Avian Tuberculosis
  3. coli infection
  4. Salmonellosis
  5. Campylobacter infection
  6. Erysipelas
  7. Ornithosis

 

(গ) Infectious Diseases of Cattle, Buffalo, Sheep & Goat:

  1. Foot and Mouth Disease (FMD)
  2. Peste des petits Ruminants (PPR)
  3. Goat Pox
  4. Sheep Pox
  5. Black Quarter
  6. Haemorrhagic Septicamia
  7. Johne’s Disease
  8. Contagious Bovine Pleuropneumonia
  9. Vibriosis
  10. Bovine Viral Diarrhoea
  11. Malignant Catarrhal Fever
  12. Lumpy Skin Disease
  13. Infectious Bovine Rhinotracheitis (IBR)
  14. Bovine Viral Leukosis
  15. Trypanosomiasis
  16. Trichomoniasis
  17. Babesiosis
  18. Anaplasmosis
  19. Theileriasis
  20. Warble Fly (HypodermaBovis and Blineatum)
  21. Dermatomycosis
  22. Epizootic Lymphangitis
  23. Equine Infectious Anemia
  24. Contagious Caprine Pleuropneumonia
  25. Vibrio Foetus
  26. Contagious Puslular Dermatitis
  27. Maedi-Visna
  28. Adenomatosis
  29. Scrapie
  30. Vesicular Examthema
  31. Aujesxky’s Disease
  32. Atrophic Gastro Enteritis
  33. Footrot

 

 

 

(ঘ) Infectious Diseases of Poultry:

  1. Fowl Pox
  2. Marek’s Disease
  3. Gumboro Disease
  4. Duck Viral Enteritis (Duck Plague)
  5. Pullorum Disease
  6. Fowl Cholera
  7. Fowl Plague
  8. Avain Leukosis
  9. InflectiousAvain Encephalomyelitis
  10. Infectious Laryngotracheitis
  11. Avain Infectious Bronchitis
  12. Mycoplasmosis
  13. Chicken Anemia Viral Infection
  14. Duck Viral Hepatitis
  15. Nectrotic Enteritis
  16. Goose Viral Hepatitis
  17. Lymphoid Leukosis
  18. Myeloid Leukosis
  19. Omphalitis
  20. Paratyphoid Infections
  21. Viral Arthritis
  22. Encephalomyelitis
  23. Egg Drop Syndrome
  24. Aspergillosis
  25. Infectious Coryza
  26. Swollen Head Syndrome
  27. Melioidosis
  28. Proliferative Stomatitis
  29. Inclusion Body Hepatitis
  30. Rota Viral Infection in Chickens
  31. Thrush (Candidiasis)
  32. Avian Spirochetosis
  33. Staphylococcosis
  34. Streptococcosis
  35. Quail Bronchitis
  36. Psittacosis
  37. Newcastle Disease (Ranikhet)

 

 

তফসিল-৬

মোতাবেক (বিধি-৬ বা ৯)

 

গবাদিপশু বা পাখিজাতীয় প্রাণি জবাইয়ের উপযুক্ততা বিষয়ে প্রত্যয়নপত্র।

 

অদ্য ————– ইং তারিখ ——————- বার —————– ঘটিকায় ———————————জবাইখানা / কারখানার সাময়িকভাবে পশু রাখিবার স্থানে ———————- টি গবাদিপশু           (গরু/ছাগল/ভেড়া/মহিষ/ ——- বা পাখিজাতীয় প্রাণি  জবাইপূর্ব পরিদর্শন করি। এতদসংক্রান্ত নিরাপদতা ও নিরাপত্তার জন্য মাংসের মান বিষয়ে মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নির্দেশনাসহ সকল বিধি-বিধান যথাযথভাবে পালন করিতে বাধ্য থাকিব। জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১ এবং উহার অধীন বলবৎ ‘পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২১’ এর বিধিবিধানের আলোকে পর্যবেক্ষণে পশু জবাইয়ের যোগ্য  মর্মে এই প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা হইল। নিম্নে পশুর বিবরণ দেওয়া হইলঃ

 

ক্রমিক নংপশুর সাধারণ নামলম্বা, উচ্চতা ও ওজনট্যাগ নংজবাইয়ের জন্য আনয়নের পূর্বের ৩০দিন যে খামারে বা এলাকায় ছিল

 

 

ভেটেরিনারিয়ান বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও সিল

তারিখ

 

 

 

Leave a Comment