ব্রয়লারের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা | পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং

ব্রয়লারের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা আজকের আলোচনার বিষয়। “ব্রয়লারের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা [ Broiler disease prevention management ]” ক্লাসটি পোলট্রি রেয়ারিং এন্ড ফার্মিং ১ [Poultry Rearing & Farming 1] কোর্সের পাঠ্য। “ব্রয়লারের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা [ Broiler disease prevention management ]” ক্লাসটি নবম শ্রেণীর [ Class 9 ] ১৪ম অধ্যায়ের [ Chapter 14 ] পাঠ। নিয়মিত ক্লাস পেতে গুরুকুল কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ গুরুকুলে যুক্ত থাকুন।

 

ব্রয়লারের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা

 

ব্রয়লার মুরগির এস্পারজিলোসিস (Aspergillosis Disease) রোগের বা ব্রুডার নিউমোনিয়া (Brooder Pneumonia) একটি ফাঙ্গাস জনিত রোগ।

প্রতিরোধঃ
যদি বাচ্চা অবস্থায় মুরগীর সমস্যা দেখা যায় তবে শেষ পর্যন্ত ব্যাচে সমস্যা লেগেই থাকে। তাই ব্রুডার নিউমোনিয়াতে যেন বাচ্চা আক্রমন করতে না পারে সতর্ক থাকতে হবে।
লিটার হিসেবে অবশ্যই ধানের তুষ ব্যবহার করতে হবে।কাঠের গুড়া ব্যবহার কমাতে হবে। লিটারে তুতে দিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে।

প্রতিকার:-
১। রেজিস্ট্যার্ড ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ মত দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। এ ছাড়া  Enflox-Vet solution/cotrim vet suspension-1 ml/Ltr তিন থেকে পাঁচ দিন খাওয়ালে উপকার হয়।
২। রসুনের রস ভাল কাজ করে।
৩। কপার বা তুতে খাওয়ানো যেতে পারে।

 

ব্রয়লা 2 ব্রয়লারের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা | পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং

 

ব্রয়লার খামারে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা

 

১. জীবাণুনাশক দিয়ে শেডের জীবাণু ধ্বংস করা। খামারে নতুন বাচ্চা উঠানোর আগে খামার সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রথম পানি দ্বারা খামার পরিষ্কার করে পরবর্তীতে পানির সাথে কার্যকরী জীবাণুনাশক মিশিয়ে খামার জীবাণুমুক্ত করা যায়।

২. হ্যাচারি থেকে সুস্থ সবল বাচ্চা সংগ্রহ করতে হবে। কেননা কিছু কিছু রোগ আছে

যেগুলো হ্যাচারি থেকে ডিমের মাধ্যমে বাচ্চাতে আসতে পারে এবং কিছু দিনের মধ্যে খামারে রোগ দেখা দিতে পারে। যেমন- সাল্মোনেলোসিস, মাইকোপ্লাজমোসিস ইত্যাদি হ্যাচারি থেকে খামারে আসতে পারে।

 

৩. খামারে ভালো খাদ্য এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে খাদ্য যাতে কোন অবস্থাতেই অতিরিক্ত আর্দ্রতাযুক্ত না হয়। অতিরিক্ত আর্দ্রতাযুক্ত খাদ্যের মাধ্যমে অ্যাসপারজিলেসিস ও বিষক্রিয়াজনিত জটিল রোগ হতে পারে।

৪. বাইরে থেকে জীবাণু শেডে পৌঁছে যায়। সাধারণত মানুষ, পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ ইঁদুর, খাবার, পানি, বাতাস, খাদ্যের ব্যাগ, গাড়ি ইত্যাদির সাথে জীবাণু শেডে পৌঁছে যায়। তবে সবচেয়ে বেশী সংক্রমণ হয় মানুষের দ্বারা।

৫. খামারে মানুষের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রতিবার খামারে প্রবেশ করা ও খামার হতে বাহির হওয়ার সময় হাত ও পা অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে আয়োডিন যৌগ (আয়োডিন, পেভিসেপ) বা কার্যকর জীবাণুনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।

৬. ব্রয়লারকে টিকা দিয়ে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করা।

 

ব্রয়লারের রোগ প্রতিরোধ

 

ব্রয়লারের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

Leave a Comment