মুরগির বিভিন্ন অঙ্গ পরিচিতি | পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং

মুরগির বিভিন্ন অঙ্গ পরিচিতি আজকের আলোচনার বিষয়। “মুরগির বিভিন্ন অঙ্গ পরিচিতি [ Different Organs Of Chicken ]” ক্লাসটি পোলট্রি রেয়ারিং এন্ড ফার্মিং ১ [Poultry Rearing & Farming 1] কোর্সের পাঠ্য। “মুরগির বিভিন্ন অঙ্গ পরিচিতি [ Different Organs Of Chicken ]” ক্লাসটি নবম শ্রেণীর ২য় অধ্যায়ের [ Chapter 2 ] পাঠ। নিয়মিত ক্লাস পেতে গুরুকুল কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ গুরুকুলে যুক্ত থাকুন।

 

মুরগির বিভিন্ন অঙ্গ পরিচিতি

 

মুরগির দেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ

মুরগির দেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ এবং এর আচরণের ওপর শরীরের অবস্থা উপলব্দি করা যায়।

 

মুরগি মুরগির বিভিন্ন অঙ্গ পরিচিতি | পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং

 

মাথার অংশ

বেশি ডিম দেয়া মুরগির মাথা হবে ছোট, হালকা এবং মাংশল অংশ থাকবে কম। মাথার ঝুঁটি ও গলার ফুল হবে উজ্জ্বল লাল রঙ কিংবা গোলাপি বর্ণের। তবে এগুলো অবশ্যই  নরম, সুগঠিত ও প্রস্ফুটিত হবে।

চোখ, নাক ও মুখ

পাখির চোখের বর্ণ হবে উজ্জ্বল। চোখ সব সময়  সতর্ক থাকবে। নাক ও মুখ থাকবে শ্লেষ্মাহীন পরিষ্কার।

দেহ বা শরীর

মুরগির দেহ সুগঠিত হবে। পরিমাণমতো খাদ্য এবং পানি পান করবে, যে কারণে  খাদ্য থলিতে খাবারে ভর্তি থাকবে। পেটে ডিম অনুভব হলে অবশ্যই ওজনে ভারি হবে। এ ধরনের মুরগির পিঠ হয় লম্বা ও প্রশস্ত। শরীরের কোনো অংশে খুঁত, অপূর্ণতা অথবা বিকলাঙ্গ হবে না।

পালক

সুস্থ অবস্থায় মুরগির পালক উজ্জ্বল ও সুবিন্যস্ত থাকে। এ ধরনের মুরগি সাধারণত মার্চ মাসের দিকে পালক পাল্টায়। তবে মাথার উপরিভাগের পালক শূন্য হয়ে টাকের সৃষ্টি হয়।

বয়স

মুরগির বয়স বাড়ার সাথে সাথে ডিম উৎপাদনের হার তুলনামূলকভাবে কমে যায়। সাধারণত ৫৬০ দিন বয়স পর্যন্ত মুরগি মোট উৎপাদনের শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ ডিম দেয়। তাই বয়স্ক মুরগি খাবারের জন্য বিক্রি করে খামারে নতুন মুরগি তোলা উচিত।

চঞ্চল ও সতর্কতা

স্বাস্থ্যবান মুরগি সব সময় চঞ্চল থকে এবং খাবার খুঁজতে ব্যস্ত মনে হয়। হঠাৎ কোনো শব্দ হলে অথবা শত্রুর উপস্থিত বুঝতে পারলে মুখে এক ধরনের শব্দ করে স্বজাতিকে সতর্ক করে দেয়। কেউ ধরতে গেলে দৌড়ে পালায়।

 

পা

সুস্থ মুরগির পা থাকবে সুন্দর ও সুগঠিত। মুরগির পা’র মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবে হাঁটাহাঁটি করবে।

মলদ্বার এবং পাছার হাড়

ডিম পাড়া মুরগির মালদ্বার হবে প্রশস্ত ও ডিম্বাকৃতি। পরীক্ষা করলে সেখানে আর্দ্র ও রক্তাভ দেখাবে। মলদ্বারের উভয় পাশে হাত দিলে পাছার হাড় অনুভব করা যায়। উৎপাদনশীল মুরগির দুই হাড়ের মধ্যবর্তী দূরত্ব হবে দুই ইঞ্চি।

তলপেট

মুরগির তলপেটে হাত দিয়ে বুঝা যাবে এর ডিম ধারণের ক্ষমতা। ডিম দেয়া অবস্থায় তলপেট প্রশস্ত ও নরম থাকে। মুরগি ডিম পাড়া অবস্থায় বুকের হাড়ের নি¤œভাগ এবং পাছার উভয় হাড়ের মাথা পর্যন্ত দূরত্ব হবে দুই ইঞ্চি। মুরগির তলপেটে মেদ থাকবে না এবং চাপ দিলে পেটের ভেতর ডিম অনুভব হবে।

চামড়া

উৎপাদনশীল মুরগির চামড়ার নিচে কোনো মেদ জমা থাকবে না। চামড়া হবে পাতলা ও নরম।

দাঁড়ানোর ভঙ্গি

সুস্থ অবস্থায় মুরগির দাঁড়ানোর ভঙ্গি স্বাভাবিক থাকে। পাখি  দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে।

রং পরিবর্তন

ডিম পাড়ার সাথে সাথে মলদ্বার, ঠোঁট, ঝুঁটি, গলার ফুল ও পায়ের রঙ পরিবর্তন হতে শুরু করে। রঙ পরিবর্তন শেষ হলে বুঝতে হবে ডিম পাড়ার সময় শেষ।

 

মুরগির বিভিন্ন অঙ্গ

 

মুরগির বিভিন্ন অঙ্গ পরিচিতি নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

Leave a Comment