কবুতরের রানীক্ষেত রোগ আজকের আলোচনার বিষয়। “কবুতরের রোগব্যাধি : রানীক্ষেত রোগ [ Pigeon disease: Ranikhet disease ]” ক্লাসটি “পোলট্রি রেয়ারিং এন্ড ফার্মিং ২ [ Poultry Rearing & Farming 2 ]” কোর্সের পাঠ্য। “কবুতরের রোগব্যাধি : রানীক্ষেত রোগ [ Pigeon disease: Ranikhet disease ]” ক্লাসটি এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) [ SSC & Dakhil (Vocational) ] এর ২য় অধ্যায়ের [ Chapter 2 ] পাঠ। নিয়মিত ক্লাস পেতে গুরুকুল কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ গুরুকুলে যুক্ত থাকুন।
কবুতরের রানীক্ষেত রোগ
রাণীক্ষেত রোগ কী?
রাণীক্ষেত রোগ (Newcastle Disease) একটি ভাইরাল ডিজিস অর্থাৎ ভাইরাসবাহিত রোগ। এটি একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ হওয়ায় খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।বিভিন্ন খামারের হাঁস-মুরগী ও কবুতরের গণহারে মৃত্যুর জন্য দায়ী হলো এই রাণীক্ষেত রোগ। এই রোগ পৃথিবীর মোটামুটি সব দেশেই পাওয়া যায় যা বছরের যেকোনো সময় আপনার হাঁস-মুরগি বা কবুতরকে সংক্রমণ করতে পারে। কবুতরের রাণীক্ষেত রোগ আপনার পালিত সকল কবুতরকে সংক্রমিত করে খামারশূণ্য করতে পারে।
কবুতরে রাণীক্ষেত রোগের কারণ কী?
- রাণীক্ষেত রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস হলো Newcastle Disease Virus( NDV) বা Paramyxo Disease Virus (PMV). প্যারামিক্সো ডিজিস ভাইরাসের অনেকগুলা স্ট্রেইন বা রূপ রয়েছে যার প্রত্যেকটিই বিভিন্ন প্রাণীতে ভিন্ন ভিন্ন রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী। তন্মধ্যে দুইটি স্ট্রেইন রাণীক্ষেত রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী।
- সকল ধরণের হাঁস-মুরগী ও টার্কিতে রাণীক্ষেত রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী স্ট্রেইন হলো Paramyxo Disease Virus-1 (PMV-1).
- সকল জাতের পাখি ( কবুতর, কোয়েল) তে রাণীক্ষেত রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী স্ট্রেইন হলো Avian/Pigeon Paramyxo Disease Virus-1 (PPMV-1)
আজকে আমরা কবুতরের রাণীক্ষেত রোগ নিয়ে আলোচনা করবো-

কবুতরের রাণীক্ষেত রোগ কীভাবে ছড়ায়?
- কবুতরের রাণীক্ষেত রোগ একটি ভাইরাসবাহিত রোগ হওয়ায় খুব সহজ ও স্বল্প সময়ের মাঝেই ব্যাপকহারে বিস্তার লাভ করতে পারে। আবার এই ভাইরাস ইনএক্টিভেটেড অবস্থায়ও ৭-১৪ দিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
- যেসব কবুতর শেডের বাহিরে গিয়ে অন্য কবুতরদের সাথে উড়ে,মিশে বা খাবার খায় তাদের মাধ্যমেই এই রোগ আপনার শেডে ছড়িয়ে পড়বে।
- সংক্রমিত কবুতরের সাথে একই খোপে যেসব কবুতর থাকবে তাদের মাঝেও ভাইরাসটি বিস্তার করবে।
- সংক্রমিত কবুতরের খাওয়া এটো খাবার বা পানির মাধ্যমেও অন্য কবুতরে ছড়াবে। কবুতর রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহৃত জিনিসপত্রের দ্বারা ছড়াতে পারে।
- কবুতরের যত্ন নেওয়া ব্যক্তির মাধ্যমে অন্য কবুতরে সংক্রমণ করতে পারে।
- সংক্রমিত কবুতরের ত্যাগকৃত মলে/বিষ্ঠা বা শরীরের কোনো অংশের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
- আক্রান্ত কবুতর তার বাচ্চাকে খাইয়ে দিলে বাচ্চাটিও এই রোগে আক্রান্ত হবে।
- রাণীক্ষেত রোগে আক্রান্ত কবুতরের খামার থেকে কবুতর নিয়ে আসলে। এক্ষেত্রে পরিবহন মাধ্যমেও (খাঁচা, গাড়ী, বক্স) ভাইরাসটি বিস্তার করতে পারে।
- মোট কথা হলো আক্রান্ত কবুতর যেসব কবুতর বা জিনিসপত্রের সংস্পর্শে আসবে সেখানেই ভাইরাসটি বিস্তার করতে থাকবে।
রাণীক্ষেত রোগের লক্ষণ
- রাণীক্ষেত রোগের ভাইরাস কবুতরের শ্বসনতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্রে আঘাত হানে। যার ফলে একসাথে অনেকগুলো লক্ষণ দেখা যেতে পারে।
- প্রাথমিকভাবে সংক্রমিত কবুতরগুলোকে কোনোস্থানে চুপচাপ বসে ঝিমাতে দেখা যাবে।
কবুতরের রানীক্ষেত রোগ নিয়ে বিস্তারিত ঃ
আরও দেখুনঃ