আমাদের আজকের আর্টিকেলটি ছাগলের জাত ও বৈশিষ্ট্য – যা বাউবি বিএজএড ২৩০৪ গৃহপালিত পশুপালন ইউনিট-৩ এর অন্তর্ভুক্ত |
ছাগলের জাত ও বৈশিষ্ট্য
পৃথিবীতে বিভিন্ন জাতের ছাগল আছে। এদের আকার, আকৃতি, স্বভাব ও উৎপাদন বৈশিষ্ট্যের মধ্যে বেশ পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। ছাগলকে সাধারণত দুধ, মাংস, চামড়া ও লোম উৎপাদনের জন্য পালন করা হয়। তাই এগুলোর ওপর ভিত্তি করে পশু বিজ্ঞানীরা ছাগলকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছেন। যেমন-
- দুধ উৎপাদনকারী জাতের ছাগল- এরা অধিক দুধ উৎপাদন করে। যেমন- সানেন, বারবারি, টোগেনবার্গ ইত্যাদি।
- বাচ্চা উৎপাদনশীল জাতের ছাগল- এরা অধিক বাচ্চা উৎপাদন করে। যেমন- ব্ল্যাক বেঙ্গল, কাজাং ইত্যাদি।
- চামড়া উৎপাদনকারী জাতের ছাগল- এরা উত্তমমানের চামড়া উৎপাদন করে। যেমন- ব্ল্যাক বেঙ্গল, মারাডি ইত্যাদি।
- মাংস উৎপাদনকারী জাতের ছাগল- এরা উন্নতমানের মাংস উৎপাদন করে। যেমন- ব্ল্যাক বেঙ্গল, মা-টু ইত্যাদি।
সারণি ১১-এ উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে চার্ট আকারে ছাগলের শ্রেণিবিন্যাস দেখানো হয়েছে।
সারণি ১১ : উৎপাদন বৈশিষ্ট্য, উৎপত্তি ও আবহাওয়ার ওপর ভিত্তি করে ছাগলের জাতের শ্রেণিবিন্যাস
এখানে ছাগলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জাতের উৎপত্তি, প্রাপ্তিস্থান ও বৈশিষ্ট্যাবলী আলোচনা করা হয়েছে।
অধিক দুধ উৎপাদনকারী জাত
সানেন (Sannen)
সুইজারল্যান্ডের পশ্চিমাংশে সানেন জাতের ছাগলের উৎপত্তি। এদের দেহ সাদা বা উজ্জ্বল সাদা খাটো লোমে আবৃত। গলা, কান ও ওলানে কালো দাগ থাকে। সাধারণত শিং থাকে না। এদের পা ছোট, কান সোজা ও সম্মুখমুখী এবং ওলান বড়।
ছাগলের বিভিন্ন জাতের মধ্যে এরা সর্বোচ্চ পরিমাণ দুধ দেয়। পৃথিবীর বহু দেশ, যেমন- অস্ট্রেলিয়া, ওয়েষ্ট ইন্ডিজ, ভারত, ফিজি, ঘানা, কেনিয়া, কোরিয়া, ইসরাইল, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনে এই জাতের ছাগল আমদানি করা হয়েছে। পৃথিবীর যে কেনো অঞ্চলের আবহাওয়ার সাথে এরা নিজদের খাপ খাওয়াতে পারে। এরা দৈনিক ৩.০-৩.৫ লিটার দুধ দেয়। এক দোহনকালের ৩৩৬ দিনে ৯৯০ লিটার পর্যন্ত দুধ দিতে সক্ষম।
টোগেনবার্গ (Toggenburgh )
এই জাতের ছাগল সুইজারল্যন্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পাওয়া যায়। এরা আকারে বেশ বড়। গায়ের রঙ বাদামি বা চকোলেট হয়। দু’পায়ের হাটুর নিচ ও মুখমন্ডলে সাদা দাগ থাকে। গলা লম্বা, হালকা ও সোজা, কান কালো রঙের কিন্তু ঘাড়ের দিকে সাদা। ছাগল ও ছাগী কারোই শিং থাকে না। ছাগী দৈনিক ৩ লিটার পর্যন্ত দুধ দিয়ে থাকে। ভারত, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভেনেজুয়েলা, দক্ষিণ আফ্রিকা প্রভৃতি দেশে দুধের জন্য এদের পালন করা হয়। এরা মাঠে চরে খেতে পছন্দ করে। পূর্ণবয়স্ক ছাগল ও ছাগীর ওজন যথাক্রমে ৬০-৬৫ ও প্রায় ৭০ কেজি হয়।
অ্যাংলো নুবিয়ান (Anglo Nubian)
এটি একটি সংকর জাতের ছাগল। ভারতের যমুনাপারি ও মিশরের জারাই বাই জাতের ছাগল হতে এই জাতের উৎপত্তি। চেহারা ও দুগ্ধ উৎপাদনে এদের জুড়ি নেই। দেহের রঙ সাদা, কালো, বাদামি বা মিশ্র হতে পারে। কান ঝুলন্ত এবং সাধারণত শিং থাকে না। পা লম্বা ও ওলান বড়।
সুইজারল্যান্ডে উদ্ভাবিত নুবিয়ান ছাগলের চেয়ে এরা বেশি দুধ দিয়ে থাকে। অ্যাংলো নুবিয়ান থেকে দুধ ও মাংস দু’টোই অধিক পরিমাণে পাওয়া যায়। এরা চরে খেতে ভালোবাসে কিন্তু আবদ্ধ অবস্থায় পালন করার জন্যও বিশেষ উপযোগী। এরা অতি সহজে পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে। ছাগী দৈনিক ২-৩ লিটার দুধ দেয়। বাচ্চার জন্ম ওজন ২-৪ কেজি। ছাগী ২৪৭ দিনের দোহনকালে প্রায় ২২১ লিটার দুধ দিতে সক্ষম।
আলপাইন (Alpine)
এটি অধিক দুধ উৎপাদনকারী জাতের ছাগল। এদের উৎপত্তিস্থল সুইজারল্যান্ডের আল্পস পর্বতের পাদদেশে। ইউরোপের সর্বত্র এই জাতের ছাগল দেখতে পাওয়া যায়। এরা আবদ্ধাবস্থায় খামারে পালনের জন্য খুবই উপযোগী এবং যে কোনো পরিবেশের সঙ্গে সহজেই নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে। এদের দেহের রঙ কালো; তবে সাদা ডোরাকাটা দাগ বা সাদা, কালো ও বাদামি ইত্যাদি রঙের মিশ্রণও হতে পারে। বর্তমানে ভারত, মরিসাস, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ঘানা, মাদাগাস্কার, ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রভৃতি দেশে এই ছাগল খামারে প্রতিপালিত হচ্ছে। ছাগী দৈনিক ৪-৫ লিটার দুধ দেয়। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এসব ছাগলের দুধ থেকে বহুবিধ দুগ্ধজাত খাদ্যদ্রব্য তৈরি করা হয়।
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি জাত
পৃথিবীতে প্রায় তিনশর অধিক ছাগলের জাত ও উপজাত বিদ্যমান। এদের বেশির ভাগই গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও উপ-গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। ইপস্টেইন (১৯৭৯) প্রায় ৭০টি জাত ও উপজাতের কথা উল্লেখ করেছেন যেগুলো আফ্রিকায় আছে। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী দেবেন্দ্র (১৯৮০) ২২টি উল্লেখযোগ্য জাতের ছাগলের কথা বর্ণনা করেছেন যেগুলো দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় বর্তমান এবং এদের অধিকাংশই ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে রয়েছে।
ব্ল্যাক বেঙ্গল (Black Bengal)
ভারতের আসাম ও মেঘালয় এবং বাংলাদেশে এই ছাগল দেখতে পাওয়া যায়। অর্থনৈতিক দিক থেকে এই জাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উৎকৃষ্টমানের চামড়া ও মাংস উৎপাদন, অধিক সংখ্যক বাচ্চা দেয়া এবং প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকার ক্ষমতার জন্য এরা সুপরিচিত। বছরে দু’বার এবং একত্রে ২- ৬টি বাচ্চা দেয়ার দৃষ্টান্ত এদের রয়েছে। দ্রুত বংশ বিস্তারে এই ছাগলের জুড়ি নেই। এদের চামড়া বিশ্ববাজারে সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রি হয়।
চামড়ায় তৈরি জুতো ও অন্যান্য সামগ্রী অত্যন্ত আকর্ষণীয়, আরামদায়ক এবং দীর্ঘস্থায়ী বলে স্বীকৃত। এদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও তুলনামূলকভাবে বেশি। এরা আকারে ছোট, চুট বরাবর উচ্চতা মাত্র ১৫ সে.মি.। পূর্ণবয়স্ক ছাগল ও ছাগীর ওজন যথাক্রমে গড়ে ১৩ ও ৯ কেজি। দেহের লোম খাটো, সুবিন্যস্ত, রেশমি ও কোমল। এরা দ্রুত বয়ঃপ্রাপ্ত হয়। এদের পা খাটো, কান খাড়া। শিং আকারে ছোট ও কালো এবং ৫-১০ সে.মি. লম্বা হয়।
১৫ মাস বয়সে প্রথমবার বাচ্চা দেয়। এদের দুধ উৎপাদন ক্ষমতা খুবই কম, দুয়ের অধিক বাচ্চা হলে দুধের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে বাচ্চা অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগে ও মারা যায়। এদের উৎপত্তি সম্বন্ধে তেমন কোনো তথ্য জানা যায় নি। তবে, স্মরণকাল থেকেই এরা বাংলাদেশে আছে। বাংলাদেশে এরা কালো ছাগল বলে পরিচিত। এক মাসের দোহনকালে ছাগী ২৫-৩০ লিটার দুধ দেয়। এই দুধ শিশু ও দুর্বল ব্যক্তিদের জন্য খুবই উপকারী।
যমুনাপারি (Jamunapari)
ভারতের গঙ্গা, যমুনা ও চম্বল নদীর মধ্যবর্তী ইটাওয়া জেলায় এই জাতের ছাগলের উৎপত্তি। এরা ভারতের একটি জনপ্রিয় ছাগল যা দুধের জন্য ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পরিচিত। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাসমূহে আজকাল এই জাতের কিছু ছাগল দেখা যায়। এরা আকারে বড়, কান লম্বা ও ঝুলন্ত। এদের দেহের রঙ সাদা, কালো, হলুদ, বাদামি বা বিভিন্ন রঙের মিশ্রণযুক্ত হতে পারে। ওলানগ্রন্থি সুবিন্যস্ত এবং বড় ও লম্বা বাটযুক্ত। পা খুব লম্বা; পেছনের পায়ের পেছন দিকে লম্বা লোম আছে। দেহের অন্যান্য স্থানের লোম সাধারণত ছোট।
এরা অত্যন্ত কষ্টসহিষ্ণু ও চঞ্চল। বছরে একবার এবং একটির বেশি বাচ্চা দেয় না। পূর্ণবয়স্ক ছাগল ও ছাগীর ওজন যথাক্রমে ৬৮-৯১ ও ৩৫-৬০ কেজি। এদের শিং খাটো, চ্যাপ্টা ও ২৫-৩০ সে.মি. লম্বা। ছাগল ও ছাগীর উচ্চতা যথাক্রমে ৯১-১২৭ ও ৭৬-১০৭ সে.মি.। দুধ উৎপাদন ২১৬ দিনে সর্বোচ্চ ২৩৫ লিটার।
দৈনিক উৎপাদন গড়ে ৩.৮ লিটার। ভারতে এদেরকে গরীবের গাভী বলা হয়ে থাকে। এই ছাগলের মাংস ও চামড়া তেমন উন্নতমানের নয়। এরা চরে খাওয়ার জন্য খুবই উপযোগী। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া তাদের নিজস্ব ছাগলের সঙ্গে সংকরায়নের জন্য ভারত থেকে যমুনাপারি ছাগল আমদানি করেছে।
চিত্র ৪৫ : একটি যমুনাপারি জাতের ছাগী।
বিতাল (Beetal)
এটি ভারত ও পাকিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ছাগলের জাত। এদেরকে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এবং পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরে অধিক সংখ্যায় দেখতে পাওয়া যায়। এরা দেখতে অনেকটা যমুনাপারির মতো। আকারে ছোট ও লম্বাকৃতি। পূর্ণবয়স্ক ছাগল ও ছাগীর ওজন গড়ে যথাক্রমে ৬৫ ও ৪৫ কেজি। গায়ের রঙ প্রধানত লাল; তবে, লালের মধ্যে সাদা দাগ দেখা যায়। তাছাড়া কালো রঙের ছাগলও ভারতের উত্তর প্রদেশ এবং অন্ধ্র প্রদেশে প্রচুর সংখ্যায় দেখা যায়।
এদের নাক বাঁকা ও কান লম্বা। ছাগলের দাড়ি আছে, ছাগীর নেই। শিং পেছনের দিকে বাকানো। ছাগী দৈনিক গড়ে ৪.৫ লিটার এবং এক দোহনকালের ১৩৩ দিনে ৩২০ লিটার পর্যন্ত দুধ দিতে সক্ষম। এরা মাংস উৎপাদনের জন্যও বিখ্যাত। প্রতি বছর বাচ্চা দেয়। এই জাতের ছাগল খুব কষ্টসহিষ্ণু এবং প্রতিকূল পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে।
বিভিন্ন দেশের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য জাত
অ্যাংগোরা (Angora)
এটি উন্নতমানের পশম উৎপাদনকারী জাতের ছাগল। এর পশমকে মোহেয়ার বলা হয়। এই জাতের ছাগলের উৎপত্তি মধ্য এশিয়ায়। ১৩০০ শতাব্দিতে তুরস্কের অ্যাংগোরা প্রদেশে এই ছাগল আনা হয়। ফলে ঐ প্রদেশের নামানুসারে এর নামকরণ হয় অ্যাংগোরা।
১৮৩৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ১৮৪৯ সালে আমেরিকা এই ছাগল তুরস্ক থেকে আমদানি করে তাদের দেশে নিয়ে যায় এবং মূল্যবান মোহেয়ারের শিল্প গড়ে তোলে। তুরস্কের সুলতান ১৮৮১ সালে এই জাতের ছাগল যাতে বিদেশে রপ্তানি না হয় সেজন্য এক আইন পাশ করেন। বর্তমানে নিজস্ব জাতের সাথে সংকরায়নের জন্য ভারত, পাকিস্তান, ফিজি, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে এই জাতের ছাগলের বিস্তৃতি ঘটেছে।
অ্যাংগোরা ছোট আকারের ছাগল। উচ্চতায় ৫৪ সে.মি., কান কিছুটা ঝুলন্ত। ছাগল ও ছাগী উভয়ই দেখতে খুব চকচকে ও গুচ্ছ লোমযুক্ত। এরা নিয়মিত বাচ্চা দেয়, তবে, বছরে একবার এবং সাধারণত দু’টির বেশি নয়। ছাগল ও ছাগীর দৈহিক ওজন যথাক্রমে ৬৫-৮৫ ও ৪০-৪৫ কেজি। প্রতি দোহনকালে ছাগী ২০-২৫ লিটার করে দুধ দেয়। এরা বছরে ১.৫-২.০ কেজি পশম উৎপাদন করে। তবে, কোনো কোনো ছাগল ৩ কেজির বেশিও উৎপাদন করে থাকে। এই পশম বছরে দু’বার সংগ্রহ করা হয়।
মারাডি (Maradi)
এটি আফ্রিকার একটি উন্নত জাতের ছাগল। এদের গায়ের রঙ ঘন লাল। ছাগল ও ছাগী কারোরই শিং নেই। গায়ের লোম ছোট, কান খাটো এবং সমান্তরাল। এরা ছোট আকারের, ওজন গড়ে ২৫-৩০ কেজি। এরা শুষ্ক অঞ্চলে ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারে। এদের বিস্তৃতি আফ্রিকার মধ্যেই। এই ছাগলের চামড়া উন্নতমানের ও মূল্যবান। অধিক মাংস উৎপাদনের জন্য এই ছাগল পরিচিত। এমনিতে দৈনিক গড়ে ০.৫ কেজি ও উন্নত ব্যবস্থাপনায় ১.৫ কেজি দুধ দেয়। সাধারণত দু’বছরে ৩-৪ বার বাচ্চা দেয়। দোহনকালের ১০০ দিনে প্রায় ১৫০ লিটার দুধ দেয়। এরা সারাবছরই প্রজননক্ষম থাকে।
মা-টু (Ma-Tou)
এটি মধ্য চীনের দুপেছ প্রদেশের একটি উন্নত জাতের ছাগল। অধিক সংখ্যায় বাচ্চা উৎপাদন এদের প্রধান বৈশিষ্ট্য। প্রতি ১০০টি ছাগী বছরে প্রায় ৪৫০টি বাচ্চা দিয়ে থাকে। এরা বছরে দু’বার বাচ্চা দেয়। এর মধ্যে ২১.৭% ক্ষেত্রে একটি বাচ্চা, ৭০% ২-৩টি বাচ্চা এবং ৮.৩% ৪টি বাচচা দেয়। এই জাতের ছাগল দুধ ও মাংস উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। পূর্ণবয়স্ক ছাগল ও ছাগীর ওজন যথাক্রমে ২৫-৫৫ ও ২০-৪৫ কেজি। ছাগীর দৈনিক দুধ উৎপাদন ক্ষমতা ১.৫ লিটার। এদের পশমের রঙ সাদা; এগুলো লম্বা বা খাটো হতে পারে। এদের পা খুবই লম্বা এবং ছাগল বা ছাগী কারোই শিং নেই।
আরও দেখুনঃ