Site icon Livestock Gurukul [ লাইভস্টক গুরুকুল ] GOLN

ভেড়া পালনে সুবিধাদি, ভেড়ার বাসস্থান ও পরিচর্যা

ভেড়া পালনে সুবিধাদি, ভেড়ার বাসস্থান ও পরিচর্যা

আমাদের আজকের আর্টিকেলটি ভেড়া পালনে সুবিধাদি, ভেড়ার বাসস্থান ও পরিচর্যা সম্পর্কে – যা বাউবি বিএজএড ২৩০৪ গৃহপালিত পশুপালন ইউনিট – ৭ এর অন্তর্ভুক্ত |

ভেড়া পালনে সুবিধাদি, ভেড়ার বাসস্থান ও পরিচর্যা

 

 

ভেড়া পালনে সুবিধাদি

ভেড়া পালনের বেশ সুবিধা রয়েছে। এগুলো নিম্নরূপ-

ভেড়ার এতো গুণাগুণ থাকলেও বাংলাদেশে এরা তেমন একটা জনপ্রিয় নয়। সংখ্যাও খুব অল্প। এদেশের ভেড়ার কোনো ভালো জাত নেই। ভেড়া শুষ্ক ও শীতল আবহাওয়ার প্রাণী। এদেশের ভেজা ও স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া এদের জন্য উপযোগী নয়। বাংলাদেশে নোয়াখালী ও বরিশালের উপকূলীয় অঞ্চলেই বেশি সংখ্যায় ভেড়া পালন করা হয়। আমাদের দেশের স্থানীয় জাতের ভেড়ার লোম সাদা হলেও অযত্নের কারণে তা হলুদ বর্ণ ধারণ করে। এদের পশম অত্যন্ত মোটা ও নিমানের। ফলে এথেকে ভালো উল প্রস্তুত হয় না।

এই উল থেকে কম্বল ছাড়া অন্য কিছু তৈরি করা সম্ভব নয়। বাস্তবে, এদেশে ভেড়া থেকে মাংস ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না বললেই চলে। ভেড়ার মাংসও বেশিরভাগ লোকই পছন্দ করেন না। তবে, এদেশের ভেড়ার প্রতি কিছুটা নজর দিলে সহজেই এথেকে আত্বকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাবে। বিদেশী উন্নত জাতের ভেড়ার সঙ্গে প্রজনন ঘটিয়ে সংকরজাত সৃষ্টি করলে তা থেকে উন্নতমানের উলও পাওয়া যাবে। ফলে ভেড়া পালন অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হয়ে ওঠবে।

 

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

ভেড়ার বাসস্থান

ওপর নির্ভরশীল।এদেরকে ঘাসপূর্ণ বিস্তীর্ণ মাঠে পালন করা হয় যেখানে এরা দল বেধে ঘাস খেতে ভেড়ার জন্য বাসস্থান তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। কারণ এরা প্রধানত মাঠে চরে ঘাস খাওয়ার খেতে একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যেতে থাকে।রাতের বেলা মাঠেই একসঙ্গে বিশ্রাম নেয়। তবে, শীতপ্রধান দেশে শীতকালে এদের জন্য বাসস্থানের দরকার পড়ে। তাছাড়া আরও কয়েকটি কারণে ভেড়ার বাসস্থানের প্রয়োজন পড়ে। যেমন-

ভেড়ার ঘরের ধরন

ভেড়া পালনের জন্য প্রধানত তিন ধরনের ঘর ব্যবহার করা হয়। যেমন- ক. খোলা বা উন্মুক্ত ঘর, খ- আধা-উন্মুক্ত ঘর ও গ. আবদ্ধ বা ছাদযুক্ত ঘর ।

ক. উন্মুক্ত ঘর :

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টিপাত অত্যন্ত কম হয় সেখানে উন্মুক্ত ঘরে ভেড়া পালন করা হয়। নির্দিষ্ট জায়গার চারদিকে বেড়া দিয়ে এই ধরনের ঘর তৈরি করা হয়। এতে কোনো ছাদ থাকে না । মেঝেতে প্রধানত খড় ব্যবহার করা হয়।

খ. আধা-উন্মুক্ত ঘর :

চারদিক ঘিরে বেড়া দেয়া একটি নির্দিষ্ট স্থানের এক কোণে খানিকটা জায়গা ছাদ দিয়ে ঘিরে এই ধরনের ঘর তৈরি করা হয়।

গ. আবদ্ধ ঘর :

এই ধরনের ঘরের পুরো অংশই ছাদ দিয়ে ঘেরা থাকে। ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকে। মেঝে পাকা বা আধাপাকা হতে পারে। আমাদের মতো দেশে ভেড়া পালনের জন্য এ ধরনের ঘরই উপযোগী। ভেড়া সারাদিন মাঠে চরবে ও রাতের বেলা ঘরে আশ্রয় নেবে। তাছাড়া ঝড়বৃষ্টি বা খারাপ আবহাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই ধরনের ঘর অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ।

ভেড়ার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা

ভেড়ার জন্য ভূমিসমতল মেঝে (খড়ের তৈরি) বা মাঁচার মেঝে তৈরি করা যায়। মাঁচার মেঝেতে জীবাণু ও কৃমি সংক্রমণ ঘটার সম্ভাবনা কম থাকে। তাছাড়া এটি স্বাস্থ্যসম্মতও বটে। মাঁচার তৈরি মেঝেতে ভেড়ার জন্য তুলনাম লকভাবে জায়গাও কম লাগে। সারণি ৩৪-এ বিভিন্ন বয়সের ভেড়ার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে।

সারণি ৩৪ : মাঁচার মেঝে ও খড়ের মেঝেতে বিভিন্ন বয়সের ভেড়ার জন্য বরাদ্দকৃত স্থান

 

 

 

ভেড়ার পরিচর্যা

ভেড়াকে সুস্থ সবল ও কর্মক্ষম রাখা এবং এর থেকে পর্যাপ্ত উৎপাদন পেতে হলে সঠিকভাবে যত্ন বা পরিচর্যা করতে হবে। গরু, মহিষ বা ছাগলের মতোই দৈনিক ভেড়ার পরিচর্যা করতে হবে। বিভিন্ন বয়সের ভেড়াকে প্রয়োজনমাফিক সেবাযত্ন করতে হবে। তাছাড়া গর্ভবর্তী, প্রসূতি, নবজাতক প্রভৃতি ভেড়ার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে যত্ন নিতে হবে। নিম্নলিখিতভাবে ভেড়ার পরিচর্যা করা যায়। যথা—

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version